বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় লেগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামসহ ঢাকার বাইরের আরও তিনটি ভেন্যুতে। শুক্রবার হেলিকপ্টারে চেপে বাইরের ভেন্যুগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনে করেছেন বাফুফে সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর নেতৃত্বে বাফুফে প্রতিনিধি দল। পরিদর্শন শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান প্রতিনিধি দলটি।
ফুটবল খেলাকে ঢাকা কেন্দ্রিক না রেখে, সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেই জন্যই ঢাকার বাইরে প্রিমিয়ার লিগের খেলাগুলো আয়োজন করতে মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছিলো প্রতিনিধি দলটি। তবে বড় দলগুলো আপত্তি ছিলো ঢাকার বাইরে খেলতে।
মাঠ পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, “ঢাকার বাইরের তিনটি ভেন্যুতেই খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভেন্যুগুলো খেলার উপযোগী করে তুলতে আরও সময় প্রয়োজন। এজন্য আমরা স্বাগতিক তিনটি ক্লাবকে তাদের হোম ভেন্যু খেলার উপযোগী করে তৈরি করতে প্রয়োজনীয় সময় দিচ্ছি। যারা আগে সংস্কার কাজ করতে পারবে, সেখানেই আগে খেলা শুরু হবে।”
মুক্তিযোদ্ধার হোম ভেন্যু গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম। ফেনী সকারের হোম ভেন্যু ফেনীর ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়াম। আর চট্টগ্রাম আবাহনীর হোম ভেন্যু চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম।
এ তিনটি ভেন্যুতেই কম বেশী সমস্যা দেখতে পেয়েছে বাফুফের প্রতিনিধি দল। মুক্তিযোদ্ধার হোম ভেন্যু গোপালগঞ্জের মাঠটি বেশ ছোট। তবে মাঠ বড় করার সুযোগ রয়েছে তাদের। আর চট্ট্গ্রাম আবাহনীর হোম ভেন্যু চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠ ভালো। আবাসন, ড্রেসিরুম দেখেও সন্তুষ্ট বাফুফে প্রতিনিধি দল। কিন্তু মাঠের মাঝখানে কয়েকটি ক্রিকেট পিচ রয়েছে। অন্যদিকে ফেনী সকারের হোমে ভেন্যু ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভুগছে। মাঠ ছোট, নিরাপত্তার সমস্যা ও ড্রেসিংরুম ভালো নয়। তবে সবগুলো জায়গাতেই স্থানীয় আয়োজকরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে শেষ পর্যন্ত তাদের ভেন্যুটি টিকে থাকবে।
ভেন্যু তিনটি নিয়ে বেশ আশাবাদী আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, “মাঠ নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাববার সময় এসেছে। এমন নয় যে দেশে মাঠ নেই। যেগুলো আছে সেগুলোকে পরিচর্যা করে ফুটবল খেলার উপযোগী করে তুলতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব ভেন্যু তিনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ জন্য আমরা ২-৩ দিনের মধ্যেই লিগ কমিটির সভা করে ক্লাব তিনটিকে সময় বেধে দেবো ভেন্যু সংস্কারের জন্য। সংস্কার কাজ শেষ হলে ঢাকার বাইরে পেশাদার লিগের খেলা চালু করা হবে।”