রুপসীবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথের দাবিতে পৌর এলাকায় ২৭ জানুয়ারি হরতালের ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার পৌর কার্যালয় ঘেরাও করেছে আন্দোলনরত পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দিকে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, শপথের দাবিতে ২৬জানুয়ারি হরতালের সমর্থনে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে গণমিছিল এবং ২৭ জানুয়ারি কক্সবাজার শহরে পূর্ণ দিবস হরতাল পালন করা হবে। এছাড়াও ২৫ জানুয়ারি পৌর এলাকায় গণসংযোগ করা হবে বলে জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা, ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ২ বছর পার হয়ে গেলেও নির্বাচিতরা এখনও শপথ নিতে পারেননি। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ গত ৮ জানুয়ারি বাংলানিউজ এ প্রকাশিত হয়।
এরপর নির্বাচিতরা ১৬ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে শপথের দাবিতে আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দেয়। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার পৌরসভার কার্যালয় ঘেরাও করা হয়। সময় বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার পৌরসভার নব নির্বাচিত কাউন্সিলর ছালামত উল্লাহ বাবুল, আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একটি দুষ্টচক্রের মামলার পর মামলার কারণে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ নিতে পারছেন না। আর এ চক্রের নায়ক কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র রাজ বিহারী দাশ।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসআইএম আকতার কামাল আযাদ জানান, গত ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে একজন মেয়র, ১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৪ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের পর প্রায় ২ বছর সময় পার হলেও নানা অজুহাতে শপথ আটকে রাখা হয়েছে। তাই ২৭ জানুয়ারি হরতালসহ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালামতউল্লাহ বাবুল জানান,শপথের জন্য ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শপথ না হওয়ায় ২৭ জানুয়ারি পৌর এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র সরওয়ার কামাল জানান, দুর্নীতিবাজরা পৌরসভায় লুটপাট চালানোর উদ্দেশেই নবনির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের শপথ আটকে রাখছে।
নিউজরুম