নারায়ণগঞ্জে নৌযান শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাত থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর সকল পণ্যবাহী নৌযানে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, পুলিশের ছত্রছায়ায় একদল সন্ত্রাসী মিছিলে হামলা করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নবী আলম মাস্টারসহ ২৯ জন শ্রমিককে গুরুতর জখম করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির পালন করা হবে।
চৌধুরী আশিকুল আলম আরটিভি অনলাইনকে জানান, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফ দাবি রয়েছে। প্রত্যেক নৌযান শ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র এবং সার্ভিস বুক প্রদান করতে হবে। নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাধ্যতামূলক গ্রুপবীমা কন্ট্রিবিউটারী ফান্ড চালু এবং ফিশিং ট্রলার ও নৌযান শ্রমিকদের জন্য আলাদাভাবে কল্যাণ তহবিল গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী প্রত্যেক নৌশ্রমিকের পরিবারকে ১০ (দশ লক্ষ) টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। ভারতগামী নৌযান সমূহের শ্রমিকদের জন্য খাদ্যভাতা পূনঃনির্ধারণ, কোস্টার, ট্যাংকার ও অভ্যন্তরীণ নৌযানের শ্রমিকদের জন্য খাদ্য ভাতা চালু করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর বহিঃনোঙ্গার, কুতুবদিয়া, মোংলা বন্দর এর ফেয়ারওয়ে ও হারবারিয়া এবং পায়রা বন্দরে চলাচলকারী জাহাজের জন্য সী এ্যালাউন্স চালু করতে হবে। প্রত্যেক নৌযানের মাস্টার/ড্রাইভার যারা নৌযানের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকেন তাদের জন্য ইনচার্জ (দায়িত্ব ভাতা) এ্যালাউন্স চালু করতে হবে। মাস্টারদের জন্য প্রতিটি এন্ডোর্সমেন্টে ২টি করে ও ড্রাইভারদের জন্য টেকনিক্যাল ভাতা হিসাবে ২টি করে ইনক্রিমেন্টের সআরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
| মপরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে। নৌ পথে ও ঘাটে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।