ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০টি স্পটে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা কোনরকম যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না। অ্যাম্বুলেন্সও চেক করছেন তারা। তবে রোগী থাকলে তারা অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু রোগী না থাকলে অ্যাম্বুলেন্স আটকে দিচ্ছেন। এমনকি মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যানগাড়ি দিয়ে চলাচল করতে দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়, পুলিশের গাড়িও আটকে দিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
সংসদে পাসকৃত ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’-এর বিভিন্ন ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
শনিবার বিকালে সংগঠনটির সভাপতি ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলা শ্রমিক সমাবেশ থেকেও এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
শ্রমিক ফেডারেশনের দাবি, সড়ক পরিবহন আইনে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষা ও পরিপন্থী উভয় ধারা রয়েছে। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য না করে, অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন পাস করা হয়েছে। আইনে শ্রমিকরা সড়ক দুর্ঘটনা মামলায় অপরাধী হয়ে ফাঁসির ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনি অনিশ্চিত ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পেশায় দায়িত্ব পালন করা শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সমাবেশে পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
বিডি প্রতিদিন/