এবার গ্রেপ্তার নাউমির বাবা

0
326
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কথোপকথনের অভিযোগে মিলহানুর রহমান ওরফে নাউমিকে গ্রেপ্তারের পর এবার তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাউমির বাবা সিদ্দিকুর রহমান কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গতকাল রোববার গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ দুপুরে সিদ্দিকুর রহমানকে কুমিল্লার আমলি আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালতের বিচারক তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কাল মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানি হবে।

এর আগে গত রোববার দুপুর ১২ টা ৫ মিনিটে নগরের উনাইসার নিজ বাড়ি থেকে সিদ্দিকুরকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল আকন্দ বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় নাশকতার মামলা করেন। এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকাল সাতটায় কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেওড়া এলাকা থেকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও বিএনপির নেতা সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মিলহানুর রহমান নাউমিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল। এরপর তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একই দিন দুপুর ১২ টা ৫ মিনিটে উনাইসার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিলহানুরের বাবা সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জেলা ডিবি পুলিশ। এরপর তাঁকে তাঁর ছেলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই সময়ে তিনি (কাউন্সিলর) পুলিশকে বলেন, ‘আমার ভাতিজির বিয়ে উপলক্ষে আমার ছেলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দাওয়াত করেন। খসরু সাহেবের মেয়ে আমার ছেলের সঙ্গে লন্ডনে পড়তেন।’Eprothomalo

এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশের এসআই শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘সিদ্দিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে জানান, দাওয়াত দেওয়ার জন্য তাঁর ছেলের সঙ্গে বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কথা হয়েছে। কিন্তু কথোপকথনে স্পষ্টই আন্দোলনের হুমকি আছে। এরপর আমরা ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করি। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সোমবার দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করে এক সপ্তাহের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত আজ শুনানি দিয়েছেন। অন্যদিকে মিলহানুরকে ঢাকায় নেওয়া হয়।’
তবে পরিবারের একজন সদস্য জানান, ‘জেলা ডিবি পুলিশ কথা আছে বলে সিদ্দিকুরকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। বিকেলে বলা হয় বাড়ি থেকে ওষুধ নিয়ে আসতে। রাতে শুনলাম ওনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’

সিদ্দিকুর রহমান একসময় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করতেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি নগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তাঁর ছেলে মিলহানুর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন। লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়াবস্থায় সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়। গ্রেপ্তারের পর গত দুই দিনে তারেক রহমানের সঙ্গে মিলহানুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাপা হয়। বছরখানেক আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

শেয়ার করুন