গণধর্ষণের দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড

0
137
Print Friendly, PDF & Email

 চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক তরুণীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের নারী নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের ৬ (৩) ও ৯ (গ) ধারায় রাষ্ট্রপক্ষের আনা অভিযোগে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।’

দন্ডিত আসামীরা হল, বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বল গ্রামের কবির আহমদের ছেলে রশিদ আহমেদ, ফজলুল কবিরের ছেলে নূরুল আবছার, রশিদ আহমদের ছেলে নাসির, আমির হামজার ছেলে কবির আহমেদ এবং মফজল আহমদের ছেলে মো.কেনু।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ১১ এপ্রিল গভীর রাত দেড়টার দিকে আসামীরা তাদের একই গ্রামের এক বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে ঢুকে ১৬ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে পাশের পাহাড়ে নিয়ে যায়। অপহরণের সময় ওই তরুণীর মাকে আসামীরা ঘরের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে যায়।

তরুণীকে অপহরণের পর তার মায়ের চিৎকারে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে ওই পাহাড়ে তল্লাশি শুরু করে। এসময় টর্চের আলোয় গ্রামের লোকজন পাঁচজনকে পালিয়ে যেতে দেখতে পায়। লোকজন ওই তরুণীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা বাদি হয়ে ১৯৯৭ সালের ১২ এপ্রিল বাঁশখালী থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের ২৪ আগস্ট বাঁশখালী থানা পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৯৯৮ সালের ১০ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে ‍অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে আনা ৭ জন এবং আসামীপক্ষে ৪ জনসহ মোট ১১জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। বর্তমানে আসামীরা সবাই পলাতক আছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

শেয়ার করুন