রুপসীবাংলা ডেস্ক: সড়কপথে সাধারণ মানুষের রোষানলে পরার ভয়ে পদ্মাসেতুর কেলেঙ্গাকারীসহ বিভিন্ন অভিযোগে পদত্যাগী মন্ত্রী ও দূর্নীতির বরপুত্র খ্যাত সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন তার নির্বাচনী এলাকা কালকিনিতে বুধবার সকালে আওয়ামীলীগের কর্মীসভায় হ্যালিকপ্টারযোগে যোগ দেন। এ সময় বিক্ষুদ্ধরা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়।
এ সময় উত্তেজিতরা তাকে কালকিনিতে থেকে প্রতিহত করার ঘোষনা দেয়। পদ্মাসেতুর কেলেঙ্গাকারীসহ বিভিন্ন অভিযোগে পদত্যাগী মন্ত্রী ও দূর্নীতির বরপুত্র খ্যাত সৈয়দ আবুল হোসেনের প্রতিবাদে গোপালপুর ও বালিগ্রাম ইউনিয়নবাসী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গতিরোধ করতে পারে আশঙ্কায় তিনি আকাশপথে আসার সিদ্ধান্ত নেন বলে বিশ্বস্থ্য সূত্রে জানা গেছে।
তবে আওয়ামীলীগের দাবি-‘স্বল্প সময় ও সহজ যাতায়াতের কারণে সৈয়দ আবুল হোসেন আকাশপথে এসেছেন।’ এদিকে আবুল হোসেনের আগমন উপলক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। তবে আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান, ‘কালকিনিতে হ্যালিকপ্টার নিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেনের আসা নতুন কিছু নয়। এতে সময় অনেক বাচে, আসতেও সুবিধা হয়। এ নিয়ে আবার বিতর্ক কিসের?
সাড়ে ১০টায় কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে সৈয়দ আবুল হোসেন হ্যালিকপ্টার নিয়ে অবতরণ করলে খবর পেয়ে গোপালপুর ইউনিয়নবাসী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভুরঘাটা বাসষ্ঠ্যান্ডে জড়ো হতে থাকেন। তাঁরা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষুদ্ধদের অভিযোগ, আবুল হোসেন ব্যর্থ সাংসদ। সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু আবুল হোসেনের কেলেঙ্গারীর অভিযোগের কারণেই বন্ধ হয়েছে- বিশ্বব্যাংকের এমন দাবিতে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে, দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ চরমভাবে আশাহত হয়েছেন।
এমনকি তাঁর কারণে কালকিনির সাধারণ মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কালকিনির পরিচয় দিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ মার্চ মাদারীপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে বুধবার কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা সার্কিট হাউস চত্তরে এই কর্মীসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
আপলোড, ১৪ফেব্রুয়ারী ২০১৩ নিউজরুম