ঢাকা (৪জানুয়ারী) : চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের থ্রিজি সেবা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। এই তিন জেলায় তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবা দিতে টেলিটকের প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে।
প্রাথমিকভাবে বড় শহরের গ্রাহকদের থ্রিজি সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে টেলিটক। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার পর চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সাবাজারকে থ্রিজির আওতায় আনা হচ্ছে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, “রাজধানী ঢাকার পর দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম, পর্যটন শহর কক্সবাজার ও সিলেটে থ্রিজি সেবা চালু করতে আমাদের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।”
১৭ লাখ গ্রাহককে থ্রিজি সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিটকের থ্রিজি সেবার উদ্বোধন করেন। যদিও এরপর থ্রিজি থেকে উপযুক্ত সেবা গ্রাহকরা পাননি।
অন্য অপারেটর বাজারে আসার আগেই সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটক ছয় মাস পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা চালানোর অনুমতি পেয়েছে।
টেলিটক সূত্রে জানা গেছে, ৪৫০টি বেস স্টেশন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল টেলিটক। এখন শুধু ঢাকাতেই ৬৭৫টি বেস স্টেশন রয়েছে। থ্রিজিকে সামনে রেখে এরইমধ্যে ঢাকার ৩২৮টি বিটিএসে নতুন প্রযুক্তি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান জানান, থ্রিজি সেবা পুরোপুরি পেতে হলে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এক হাজার বিটিএস (বেইজ ট্রান্সিভার স্টেশন) প্রয়োজন। আগামী এক মাসের মধ্যে আরো এক থেকে দেড়শ’ বিটিএস ঢাকায় বসানো হবে। এর ফলে বর্তমান অবকাঠামোতে আরও প্রায় দুই বছর অপারেশন পরিচালনা করতে পারবে টেলিটক।
প্রথমে ঢাকায় ৮০০টি বিটিএস স্থাপনের পরিকল্পনা থাকলেও পরে আরও ৬৮টি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। চট্টগ্রামে ১২৮টি বিটিএস স্থাপন করা হবে। তবে সবগুলো বিটিএসে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ যায়নি। রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন এলাকায় টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নয়নে বসানো কয়েকশ’ নতুন বিটিএসে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপযুক্ত দিকনির্দেশনার অভাবে থ্রিজির প্রকৃত উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে পারে।
গ্রাহকদের থ্রিজি প্রযুক্তির উপকারিতা পেতে কিছুটা সময় লাগছে স্বীকার করে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান জানান, অচিরেই এ সমস্যা কেটে যাবে।
প্রসঙ্গত, থ্রিজির মাধ্যমে মোবাইলে সহজেই ভিডিও কল করা যাবে। টেলিভিশন দেখা বা ভিডিও কনফারেন্সও করা যাবে। এছাড়া এম-হেলথ (অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা), এম-ব্যাংকিং (মোবাইলে আর্থিক লেনদেন), এম-এডুকেশনসহ (অনলাইন শিক্ষাসেবা) বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ জরুরি সেবা পাওয়া যাবে একে কাজে লাগিয়ে। শহরের সব সড়কে গাড়ির গতিবিধি দেখে অনাকাঙ্খিত যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ট্রাফিক পুলিশ।
নিউজরুম