বাংলাদেশ থেকে দেড় লাখ কৃষি শ্রমিক নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামাদি তার সরকারের পক্ষ থেকে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে এই সাক্ষাতে সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
পরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
শাকিল বলেন, “২০১৩ সালের ১৭ থেকে ১৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার বাংলাদেশ সফর ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
“মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের যে সকল শ্রমিক এখনো বৈধতা পায় নাই তাদের বৈধতা দেয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।”
মাহবুবুল হক শাকিল জানান, সাক্ষাতে সরকারি পর্যায়ে মালয়েশিয়াতে আরো বেশি শ্রমিক নেয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বেসরকারি খাতেও জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জানান, মালয়েশিয়া আরো এক লাখ ৫০ হাজার কৃষি শ্রমিক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানে মালয়েশিয়া সরকারের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়া সফরের মধ্য দিয়ে এই দুই দেশের সম্পর্কের যে দৃঢ় ভিত্তি গড়ে ওঠে তার ওপর নির্ভর করেই পারস্পরিক সম্পর্ক আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
এসময় আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছিলেন, তা তাদের সরকার প্রধান মন্ত্রিসভায়ও আলোচনা করেছেন।
মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, “বাংলাদেশের সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ফ্রিগেট এবং টহল বিমান পাঠিয়ে নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধানে সহায়তা করেছেন সে জন্যও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আহমেদ জাহিদ হামিদি।”
ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো বেশি জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং মাহবুবুল হক শাকিল উপস্থিত ছিলেন।