তৃতীয় পর্বের চেয়ে আজ রোববার অনুষ্ঠেয় চতুর্থ পর্বের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশি সহিংসতার আশঙ্কা করছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্র দখল ও ভোট ডাকাতির জন্য সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ২০টি উপজেলার নাম উল্লেখ করে বলা হয়, সেখানে সরকার-সমর্থকেরা বিএনপির-সমর্থিত প্রার্থীর লোকজনকে মারধর ও হুমকি দিচ্ছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের গণহারে গ্রেপ্তার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা দমনের বদলে সহিংসতা উৎপাদনে দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। এ কারণে সারা দেশে নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগগুলো বস্তাবন্দী হয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু জাল ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে মোটেও দেরি করে না কমিশন। তিনি বলেন, সারা দেশে সরকারদলীয় প্রার্থীদের সহিংসতা, আচরণবিধি লঙ্ঘন, বিরোধী দল সমর্থকদের পথেঘাটে মারধর করার বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, উপজেলা নির্বাচন চলাকালে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিদেশভ্রমণ জনমনে বড় ধরনের প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এটি সিইসির ‘অহংকার এবং গ্লানির’ মিশ্র প্রবাস জীবনযাপন কি না, তা বলা মুশকিল। কারণ, ৫ জানুয়ারির ‘অবৈধ’ নির্বাচন না করতে তাঁকে বারবার বলা হয়েছিল, তিনি অহংকার বজায় রেখে নির্বাচন করেছেন। এখন প্রবাস থেকে উপজেলা নির্বাচনে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
২০ উপজেলায় নানা অভিযোগ: সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী বিএনপির সমর্থকদের কেন্দ্রে না যেতে বলেছেন। ভোট দিলে আঙুলে কালি দেখে সে আঙুল কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ছাত্রদল নেতা আবুল হেলালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত বৃহস্পতিবার তুলে নেওয়ার পর থেতে তাঁর কোনো খোঁজ নেই। কিশোরগঞ্জে জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমানের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তাঁর নামে এখন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।