শরীরে পানি জমার ৫ কারণ ও প্রতিকার

0
621
Print Friendly, PDF & Email

নানা কারণে শরীরে পানি জমতে পারে। ফুলে যেতে পারে পা, হাত, মুখমণ্ডল। শরীরে পানি জমে যাওয়ার জন্য সব সময় ঔষধ প্রয়োজন হয় না। বরং শরীরের পানি কমানোর জন্য যে ঔষধগুলো সেবন করা হয় সেগুলোই পানি জমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জীবন যাপনের পরিবর্তন করা। শরীরে পানি জমাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এডিমা বলে। হায়দ্রাবাদের ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের সিনিয়র কনসালটেন্ট নিউরোলজিস্ট ডা. সুধীর কুমার পরামর্শ দিয়েছেন এ ব্যাপারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে পানি জমার কারণ ও এর প্রতিকারের উপায়গুলো-

১। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে
অনেক বেশি সময় ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে রক্ত সংবহন কমে যাওয়ার ফলে শরীরে পানি জমতে পারে। এটি প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিক সক্রিয়তা। একাধারে অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন। প্রতি ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশরুমে ঘুরে আসুন।

২। পর্যাপ্ত পানি পান না করা
শরীরে পানি আসার আরেকটি সাধারণ কারণ হচ্ছে কম পানি পান করা। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে ইলেক্ট্রোলাইটের লেভেল বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে পানি জমে। এর অর্থ এই নয় যে আপনি মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করবেন। এর ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করাই যথেষ্ট।

৩। স্বাস্থ্য সমস্যা
কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- কিডনি রোগ, হৃদরোগ, লিভার ইনফেকশন অথবা ব্রেইন টিউমারের কারণেও এডিমা হতে পারে। আপনার যদি এই ধরণের কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

৪। ওষুধ
কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও শরীরে পানি জমতে পারে। যেমন- হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ এম্লোডিপিন সেবনের ফলে পানি আসতে পারে শরীরে। এছাড়াও নন স্ট্যারয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ঔষধ,  কর্টিকোস্ট্যারয়েডস এবং বার্থ কন্ট্রোল পিল এডিমা সৃষ্টিতে অবদান রাখে। তবে যেকোন ওষুধ বাদ দেয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৫। বেশি লবণ খাওয়া

শেয়ার করুন