এইডস হচ্ছে মরণব্যাধি। মরণব্যাধি এইডসে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। জীবন হারাচ্ছে অনেকে। সামাজিকতার ভয়ে এই রোগের কথা অনেক মানুষ প্রকাশ করতে চায় না। কিন্তু একটি কথা অবশ্যই জানতে হবে। আপনি যদি সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।
এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায় ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে।
ইউএন এইডসের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডসে আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতী রোগে মৃত্যুবরণ করেছে।
আসুন জেনে নেই এইডস থেকে বাঁচতে কী করবেন?
ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ
যারা সাধারণত ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে মাদক গ্রহণ করেন, এ জন্য এইডস ভাইরাস বেশি তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। একই সিরিঞ্জ একাধিক জনে ব্যবহার করলে এইচআইভি হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি আছে। এটা দ্রুত দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
যৌন মিলন
এইডস ভাইরাসের অন্যতম কারণ হচ্ছে যৌন মিলন। এইডস থেকে বাঁচতে নিরাপদ যৌন মিলনের বিকল্প নেই। অপরিচিত কারো সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত না হওয়াই এ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়।
বীর্য, যোনি রস
বীর্য, যোনি রস এবং রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ায়। ওরাল, ভ্যাজাইনাল বা অ্যানাল সেক্সের মাধ্যমেও এটা ঘটতে পারে।
এইচআইভি ভাইরাসের রক্ত গ্রহণ
এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রক্ত যদি কেউ শরীরে গ্রহণ করে তবে তারও এইডস হতে পারে। তাই শরীরে রক্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই তা পরীক্ষা করে নিতে হবে।
একাধিক যৌনসঙ্গী
একাধিক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলন এইডস আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এ ধরনের যৌন মিলন থেকে দূরে থাকতে হবে।
সুচবিদ্ধকরণ
একই সুচ একাধিক ব্যক্তির শরীরে ব্যবহার করলে এইডস হতে পারে। এ জন্য প্রত্যেকবার নতুন সুচ ব্যবহার আবশ্যক।
সংক্রমিত মায়ের থেকে শিশুর এইডস হতে পারে।
কোনো মায়ের দেহে যাদ এইচআইভি সংক্রমণ হয়ে থাকে তবে তার গর্ভের সন্তানেও এইডস হতে পারে। এছাড়া জন্মের পরে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এই সংক্রমণ ঘটে।
শীর্ষনিউজ