ভয়-ভীতি হামলা চলছে

0
200
Print Friendly, PDF & Email

: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হামলা, গ্রেফতার ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। গ্রেফতার থেকে বাদ যাচ্ছে না বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। : এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীদের খোঁজ করার নামে তল্লাশি ও ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে। অনেক সময় নেতাকর্মীদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো বাড়িতে পরিবারের মহিলা সদস্যদের অকথ্য গালি গালাজ ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে পুলিশ। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী সদস্যরাই নয় কোথাও কোথাও ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ শাসক দলের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২ ডিসেম্বর বাছাই ও ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে। গতকাল রবিবার সিইসির সাথে বৈঠক শেষে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, তফসিলের পরও পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ইসির নির্দেশনার মাঠ পর্যায়ে কোনো প্রতিফলন নেই। এখনও সারাদেশে গায়েবি মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ না থাকায়, নির্বাচনের আগে পুলিশ বিএনপির এজেন্টদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখাবে। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছি। এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রত্যেকটি দল, সুশীল সমাজ, যারা নির্বাচনি কাজ করছে তারা সবাই বলছেন যে, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত তাদের নিরপেতাকে প্রমাণ করবার জন্য এমন কিছু কাজ করতে পারেনি। আমরা গায়েবি মামলার তালিকা দিলাম এখন পর্যন্ত তারা কিছুই করতে পারেনি। আমরা যে সমস্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলাম, সে সম্পর্কে সিইসি বলে দিয়েছেন বদল হবে না। কালকে যেটা তিনি বলেছেন অত্যন্ত মারাত্মক কথা। পুলিশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, আমাদের অধীনে আছে, যা করছে আমাদের নির্দেশেই করছে। তাহলে যত গায়েবি মামলা, যত হয়রানি সব তাদের নির্দেশে হচ্ছে। এর দায় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। এর আগে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। কিন্তু তার কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর মেহেরুন নেছার বাসায় গতকাল পুলিশ তল্লাশির নামে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিমের বাসভবনে গতকাল বিকেলে পুলিশ তল্লাশির নামে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। বাসার সকল আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করেছে। বাসার লোকজনদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। এছাড়া সরকারি কবি নজরুল সরকারি কলেজের ছাত্রদল নেতা রুমান আহমেদ, আজাদ হোসেন, মনির হোসেনকে কলতা বাজার ছোট মসজিদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ফেনী জেলা ছাত্রদল সহ-সভাপতি আব্বাস উদ্দিন পাটোয়ারীসহ ১০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যায় ছাত্রদলের লাকসাম উপজেলা সেক্রেটারী, বর্তমান কুমিল্লা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান লাকসাম পৌর শহরের নিকটবর্তী তার নিজ ইউনিয়নের নরপাটি বাজারে চা দোকানে বসে থাকা অবস্থায় স্থানীয় ছাত্রলীগের ২০/২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল আমানকে বেধম পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে আটকে রাখে। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা লাকসাম থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এছাড়া লাকসাম পৌর শহরের নিকটবর্তী গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কালামকে লাকসাম পৌর সদরের জগন্নাথবাড়ী এলাকায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা আটক করে তাকে বেদম মারধর করে। এরপর কালামকে লাকসাম বাজারের গরুবাজার এলাকায় গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে যায় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা হাসপাতালে প্রেরণ করে। এছাড়াও একই উপজেলার আজগরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামের বসতবাড়িতে ছাত্রলীগ-য্বুলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা প্রায় ৪০/৫০টি মোটর সাইকেলযোগে এসে হামলা চালায়। এ সময় সালামের পরিবারের লোকজন ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা সালামের বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে এবং সকল দামী মালামাল একটি পিকআপ গাড়িতে নিয়ে নির্বিঘেœ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গোপালপুর উপজেলাধীন হেমনগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রফিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ সাফি ইথেন বর্তমানে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আছে। এছাড়া গত ২১ নভেম্বর ২০১৮ ভুয়াপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গিয়াসসহ ২৯ জন নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জামিন নিতে গেলে তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে সবাইকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে উল্লাপাড়া-সলঙ্গায় প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে, তল্লাশির নামে তান্ডব চালাচ্ছে এবং গ্রেফতার করছে। মামলা ছাড়াই নেতাকর্মীদেরকে ধরে এনে গায়েবি মামলা দিয়ে হেনস্তা করছে, নাজেহাল করছে। ঢাকা মহানগর (উত্তর) খিলক্ষেত থানাধীন ৪৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এছাড়া রুপনগর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম শিপু, প্রচার সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ^াস, যুবদল নেতা শাহজাহান সিকদার, মিন্টু মিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জ জেলায় কয়েকদিন আগে ভৈরবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ একটি উঠোন বৈঠক চলাকালে পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী ছাত্রলীগ-যুুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে গত ১৯ নভেম্বর ৪৮ জনকে জ্ঞাত ও ৩৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। একই ঘটনায় গতরাতে ভৈরবে যুবলীগের পৌর সভাপতি বাদী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৯৮ জনকে জ্ঞাত ও ১০০ জন নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বিএনপি নেতা জামাল ডাক্তার ও আলমগীর মেম্বারসহ ইতিমধ্যেই পাঁচ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কয়েকদিন থেকেই পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে তান্ডব চালাচ্ছে। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শরীফুল আলমসহ নেতাকর্মীরা এখন এলাকাছাড়া। : গতকালও যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় বিএনপির উঠান বৈঠকে পুলিশ তান্ডব চালিয়েছে। এ সময় কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অভয়নগর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল হক মোল্যা জানান, গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলা সদরের তার নিজস্ব বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে একটি ঘরোয়া বৈঠক করছিলেন। বৈঠকটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে পূর্ব অনুমতি নিয়ে আয়োজন করা হয়। বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূবের পক্ষে মনোনয়ন জমা দেয়ার বিষয় নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঘরোয়া আলাপ আলোচনা চলছিলো। বৈঠক চলাকালে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে অভয়নগর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এ সময় পুলিশ বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট করে এবং তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। : তিনি বলেন, এ সময় পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলির ছাররায় একজন বিএনপি কর্মী আহত হন। উপজেলা বিএনপি নেতা মশিয়ার রহমান মশি বলেন, শান্তিপূর্ণ এ ঘরোয়া সভায় নির্বাচনি এলাকার বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, সাবেক পৌরমেয়র আব্দুল হাই মনাসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা চালায়। শুধু হামলা চালিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি, তারা গুলিবর্ষণের মতো ঘটনা ঘটায়। এক পর্যায়ে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটাসহ অকথ্য নির্যাতন করে পুলিশ। : তিনি বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পর অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে নিবৃত্ত করেন। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া থানা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠ থেকে দূরে রাখতেই অভয়নগর থানা পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে এ কাজ করেছে। তিনি এ ঘটনা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। : ফেনীতে অর্ধশতাধিক গায়েবি মামলায় কয়েক হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছাড়া : ফেনী থেকে মফিজুর রহমান জানান, ফেনীতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করে একের পর এক ‘গায়েবি’ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এসব মামলায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে। এতে করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে তারা ‘গায়েবি’ মামলায় গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীর তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনের আগে মুক্তির দাবি জানান। একই সাথে আদালত থেকে জামিন লাভের পর কারাফটকে পুনঃগ্রেফতার বন্ধের আহবান জানান। এই দিকে জেলা বিএনপি নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেন যে, তারা হাইকোর্ট ও নি¤œ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর জেল গেটে তাদের আটক করে এবং তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দেয় বলে অভিযোগ করে। ফেনী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক গাজী হাবিবুল্লাহ গাজী মানিকের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত প্রায় ৮৪ টি মামলা দিয়েছে। এবং বার বার জামিন হওয়ার পরও তাকে আবারও গায়েবি মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এই ভাবে অনেক নেতা কর্মীকে হয়রানির শিকার হতে হয়। : গতকাল সন্ধ্যায় শহরের ইসলামপুর সড়কের জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টার ও পৌর সভাপতি আলাল উদ্দিন আলাল। তাদের তৈরি এক হিসাবে বলা হয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যাবধি জেলার ৬ থানায় ৫০ টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ২ হাজার ৮ শ ২৩ জনকে আসামি করা হয়। জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি গাজী হাবিব উল্লাহ মানিকসহ গ্রেফতার রয়েছেন প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী। : সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত তালিকায় তারা উল্লেখ করেন, জেলায় সর্বাধিক মামলা হয়েছে সদর মডেল থানায়। এখানে ২২ টি মামলায় আসামি হয়েছে ১ হাজার ২ শ ৮৭ জন। সোনাগাজী মডেল থানায় ২ টি মামলায় আসামি ৭৬ জন, দাগনভূঞা থানায় ২ টি মামলায় আসামি ১ শ ৪ জন, ফুলগাজী থানায় দুই মামলায় আসামি ৯৭ জন, পরশুরাম মডেল থানায় দু মামলায় আসামি ১ শ ৬৬ জন, ছাগলনাইয়া থানায় এক মামলায় ৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ছাগলনাইয়ার রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক চৌধুরী মাহবুব, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাবুল হোসেন কাবুল, বালিগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান শাহাদাত, যুগ্ম-সম্পাদক আমজাদ হোসেন সুমন, দফতর সম্পাদক আল ইমরান, সদর উপজেলা আহবায়ক আতিকুর রহমান মামুন, যুগ্ম-আহবায়ক কামাল উদ্দিন মজুমদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ সবুজ, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম আকাশ, মিজানুর রহমান রাসেল, আব্বাস পাটোয়ারিসহ ৩৯ জনের নাম রয়েছে। : বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিনা মামলায় শুধুমাত্র সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দেয়া তালিকার ভিত্তিতে পুলিশ অহরহ গ্রেফতার করছে। সরকার দলীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি ও দোকানপাট থেকে ধরে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করছে। : সিলেট জুড়ে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে : সিলেট অফিস জানায়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট জুড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার চালানোর অভিযোগ করেছে সিলেট জেলা বিএনপি। এই বিষয়ে রবিবার সিলেট জেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল্লাহর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তারা। জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রটি দাখিল করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, জেলা উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ, জেলা উপদেষ্টা শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: ফখরুল হক, স্বাস্থ্য সম্পাদক আ.ফ.ম কামাল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেক ও দিদার ইবনে তাহের লস্কর, বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ, আব্দুর রহমান, ওয়ারিছ আলী, মাসুক আহমদ, বাদশা মিয়া, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা আবুল হাসান ও বদরুল ইসলাম প্রমুখ। : অভিযোগ পত্রে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশন অহেতুক গ্রেফতার ও নির্যাতন না করার ঘোষণা সত্ত্বেও সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নেতাকর্মীদের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং বাসায় বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। যা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণার পরিপন্থী। এছাড়া শনিবার সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজামাল নুরুল হুদাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন প্রকার মামলা ছাড়াই আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে জালালাবাদ থানায় আটকে রেখে গায়েবি মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ত্বরিত প্রদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
দিনকাল রিপোর্ট :

শেয়ার করুন