নাটোরের সিংড়ায় ছোট ছেলেকে বাড়িতে জায়গা দেয়ায় অপর বড় ছেলে তার ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে আহত করেছে। রোববার সন্ধ্যায় সিংড়া উপজেলার মহেশচন্দ্রপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৮টায় আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার দুই প্রতিবেশী। আহত বৃদ্ধার নাম রহিমা বেগম। সে মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের জামসেদ প্রামাণিকের স্ত্রী। বৃদ্ধাটি এখন সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি ওয়ার্ডের ৩২ নম্বর বেডে শুয়ে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক জামসেদ প্রামাণিক তার ৬ ছেলের মধ্যে ছোট দুই ছেলে হেলাল উদ্দিন ও ছালামকে বসতভিটায় বাড়ি নির্মাণের জায়গা দেয়। এতে বৃদ্ধ পিতা-মাতার সাথে অপর দুই বড় ছেলে দুলাল ও বেলাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতে থাকা গরু পেটানো লাঠি দিয়ে বৃদ্ধা মাকে দুলাল হোসেন বেধড়ক মারপিট করে। পরে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এসময় স্থানীয় প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে বৃদ্ধা রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিংড়া উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, একজন গর্ভ ধারিণী মাকে তার সন্ত্রান পিটিয়ে আহত করতে পারে এটা খুবই লজ্জাষ্কর। বিষয়টি জানার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আর বিষয়টি থানায় অবগত করা হয়েছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্ত দুলাল হোসেনকে আটকের জন্য জরুরী ফোর্স পাঠানো হয়েছে।