যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যেখানে যাই দেখতে পাই মঞ্চ ভরে যায় নেতাদের। কেউ কর্মী হতে চায় না। কর্মীর অভাবে আগামীতে আওয়ামীলীগে রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিতে পারে। কারণ আমাদের কর্মীর দরকার। এখনকার নেতারা ডিজিটাল। আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিজিটাল চেহারা দেখে কেউ ভোট দিবে না। ডিজিটাল চেহারা দেখলে মানুষ বিরুক্তি বোধ করেন। সুন্দর আচরণ দিয়ে মাঠে কাজ করতে হবে। যে সব জনপ্রতিনিধিরা জনস্বার্থকে উপক্ষো করে অপকর্ম করছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই প্রতিনিধিদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না। জনগণ ভোট দিয়ে এমপি ও পরে মন্ত্রী করে। এলাকায় এলে মানুষ মন্ত্রীকে খুশি না করে তার কাজকে খুশি করতে হয়।
মন্ত্রী মঞ্চ দেখিয়ে বলেন, দেখেন এখানে এখন কতো নেতা। মনে হচ্ছে দেশে এখন নেতা উৎপাদন চলছে। বন্যায় ফসলের উৎপাদন না হলেও দেশে এখন হাইব্রিড নেতা উৎপাদন বাম্পার হচ্ছে। এরা আসল নেতা নয়, এরা হাইব্রিড নেতা। এ হাইব্রিড নেতাদের কারনে আজ প্রকৃত নেতা একজনকে ও খুঁজে পাওয়া যায় না, যোগাযোগমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, ডিজিটাল পোস্টার, ব্যানার না বানিয়ে দেশকে ডিজিটালে রুপান্তর করুন।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষকরা সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করা উচিত নয়। সক্রিয় রাজনীতি করলে শিক্ষকতা করবে কে ? এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন। ছাত্র-ছাত্রীরা রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করলে লেখা পড়া করবে কে ? এলাকাতে মন্ত্রী, এমপি এলে ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তার দুই পাশে রৌদে দাঁড় করিয়ে কষ্ট দেওয়া হয় এটা আমি পছন্দ করি না। মন্ত্রী আরো বলেন আমার সময় কম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের কোথায় নিবে যাবে আল্লাহ ভালো জানেন। বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন সহিংসতা আন্দোলনের পথ ছেড়ে বিরোধী দল গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। এ কারণে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিরোধী দলকে আন্দোলন সংগ্রাম না করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় নতুন ৯ তলা একাডেমী ভবন উদ্ভোধনে এই কথা বলেন। মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও চৌমুহনী পৌর মেয়র মামুনুর রশিদ কিরন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ এ বি এম জাফর উল্যাহ, জেলা প্রশাসক সিরাজুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভি পি মোহাম্মদ উল্যাহ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগম, জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক বাদশা, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রশিদ তারেক, জালাল আহম্মেদ প্রমূখ। এর আগে মন্ত্রী সেনবাগ মোহাম্মদপুর রামেন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সেনবাগ উপজেলার গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় আওয়ামীলীগ প্রার্থী ড. জামাল উদ্দিন আহম্মেদ এফসিএ, প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।