গাজীপুরের টঙ্গীতে গভীর রাতে বাসায় ঢুকে লিটন মণ্ডল (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা ও তার স্ত্রীকে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বড় দেওড়া মন্নুনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও জখম করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে টঙ্গী ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত লিটন মণ্ডল ঝুট ব্যবসায়ী ছিলেন। তার স্ত্রী রাশেদা বেগমের (৪০) অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের বাড়ি নওগাঁর সাপাহার থানার নুরপুর গুচ্ছগ্রামে। তিনি স্বপরিবারে বড় দেওড়া এলাকায় জনৈক রুহুল আমিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহতের বড় মেয়ের বরাত দিয়ে টঙ্গী থানার এসআই মো আব্দুল আজিজ লস্কর জানান, লিটন মন্ডল টঙ্গী এলাকায় ঝুটের ব্যবসা করতেন। প্রতিদিনের মতো বুধবারও রাতের খাবার সেরে স্বামী-স্ত্রী একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।
নিহতের মেয়ে জানান, রাত ৩টার দিকে বাবার ঘরে তিনি একজনকে পায়চারি করতে দেখেছেন। তবে তিনি ভেবেছিলেন তার বাবাই পায়চারি করছেন। এর কিছুক্ষণ পর ঘরে বাবা-মায়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে গেলে মুখে তোয়ালে বাঁধা এক যুবককে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন।
পরে চিৎকার শুনে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে পাঠায়।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, হাসপাতালে আনার আগেই লিটন মারা যান। গুরুতর আহত রাশেদাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিটনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।