রুপসীবাংলা, ঢাকা (০৫ ডিসেম্বর) : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্টাফ কোয়ার্টারের পাঁচতলা থেকে মাটিতে পড়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছে দুই বছরের শিশু।
শিশুটির নাম তানজিদা জনি। তার বয়স দুই বছর। বাবার মো. খোকন বুয়েটের ছাত্র ক্যাম্প অফিসের সিনিয়র অ্যাটেনড্যান্ট। তার দেশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। বর্তমান ঠিকানা ৩৬/৯, বুয়েট স্টাফ কোয়ার্টার।
মো. খোকন কাঁদতে কাঁদতে বাংলানিউজকে জানান, তারা স্টাফ কোয়ার্টারের পাঁচতলায় থাকেন। তার তিন মেয়ে। তিনজনই ছোট। বড় মেয়ে মুক্তি (৬), মেজো মেয়ে মিতু (৪) ও সবার ছোট জনি (২)। বেলা ১২টার দিকে বাড়ির পাঁচতলার বারান্দায় তিন বোন মিলে খেলা করছিল।
তিনি আরও জানান, তাদের বারান্দায় কোমর পর্যন্ত রেলিং আছে। রেলিংয়ের উপর ঢালাই করা রডের বাউন্ডারি আছে। তার উপর একটি বেড়া দিয়ে পুরো বাউন্ডারি ঢাকা, বেড়ার মাঝখানে জানালা। শিশু জনি খেলতে খেলতে হামাগুড়ি দিয়ে রেলিংয়ের সঙ্গে ঘেরা একটি টুলের উপর উঠে ওই জানালা দিয়ে উঁকি মারতে গেলে জানালা দিয়ে নিচে পড়ে মাটিতে যায়। মাটির উপর দুর্বা ঘাস ছিল।
এসময় শিশুর মা স্বপ্না বেগম রান্নাঘরে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে জানান খোকন।
এদিকে, শিশুটি মাটিতে পড়তে দেখে আশেপাশের লোকজন দেখে চিৎকার শুরু করে। এসময় সে জোরে জোরে কাঁদছিল। এরপর শিশুর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারির ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের কর্তব্যরত ডাক্তার শিশুটির মাথার সিটি স্ক্যানের জন্য দ্রুত ঢামেক বহির্বিভাগে পাঠান। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বলেন, অবস্থা মোটামুটি ভালো, অপারেশনের দরকার নেই। তবে ওষুধপত্র দিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
নিউরোসার্জারির ইউনিট ২-এর ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে জনির চিকিৎসা চলছে।
নিউজরুম