ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৪২ যাত্রী ।
শুক্রবার ভোরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের বসন্তপুর ও ফরিদপুরের কোমরপুর এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শেরপুরের খন্দকার গোলাম মোস্তফা (৪৮) ও নেত্রকোনার মাহবুব আলম (৪০), ফরিদপুরের গ্লোবাল পরিবহনের সুপারভাইজার বাবু ফকির (৪০), ওই গাড়ির সহযোগী মোহাম্মদ জুয়েল (৩৫), কাউন্টার মাস্টার পরেশ এবং বাসের যাত্রী আফসার উদ্দিন (৩৫)।
বাকিদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মহসীনুল হক বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার তেজগাঁওয়ের এনড ফোর্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তা মাইক্রোবাসে করে অফিসের কাজে মাগুরা যাচ্ছিলেন।
তাদের গাড়িটি ফরিদপুরের কোমরপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে খন্দকার গোলাম মোস্তফা (৪৮) ও মাহবুব আলম (৪০) নামের দুই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া নারায়ণ চন্দ্র ও আলী আবেদীন নামে আরও দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের বসন্তপুরে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ ১০জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন খান বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ঢাকা থেকে গ্লোবাল পরিবহনের (পাবনা ব-১১-০০১২) একটি বাস বরিশাল যাচ্ছিল।
যাত্রীবাহী বসিটি মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-১৬০৫) একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ১২জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও কমপক্ষে ৪০ যাত্রী।
আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে নিহতদের মধ্যে গ্লোবাল পরিবহনের সুপারভাইজার বাবু ফকির (৪০), সহযোগী মোহাম্মদ জুয়েল (৩৫), কাউন্টার মাস্টার পরেশ ও ওই বাসের যাত্রী আফসার উদ্দিনের (৩৫) নাম জানা গেছে। এরমধ্যে বাবু ফকির ও আফসার উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে।