বীমা কোম্পানিগুলোর তদারকি করছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইডিআরএ) এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে বীমা কোম্পানিগুলোর সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য তদারকি শুরু করেছে। একই সাথে নতুন করে জীবন বীমা কোম্পনিগুলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ জন্য আইডিআরএ বীমা কোম্পানিগুলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য চেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বীমা কোম্পানির মাধ্যমে সন্ত্রাসী কাজে অর্থ লেনদেন প্রতিরোধে বীমা কোম্পানির জন্য এর আগে একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নীতিমালার মাধ্যমে ব্যাংকের মতো বীমা কোম্পানিগুলোকেও লেনদেনের মাসিক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় আনা হয়। এ নীতিমালার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অন্যান্য বিধান যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য তাগিদ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন পরিপালনের জন্য এ আইনের আলোকে বীমা কোম্পানিগুলোকে তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে নিজস্ব গাইড লাইন প্রণয়ন করতে বলা হয়েছিল। পরে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ বীমা কোম্পানিই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আলোকে নিজস্ব গাইড লাইন তৈরি করতে পারেনি। অনেকেই দায়সারাভাবে গাইড লাইন প্রণয়ন করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বীমা কোম্পানিগুলোর রিপোর্টের আওতায় আনার পর এখন তাদের নিবিড় তদারকির আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উপায় উপকরণ দেয়া হচ্ছে। কোনো রকম সন্দেহমূলক লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ দিকে বীমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপ (আইডিআরএ) জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
আইডিআরএ-এর এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জানা গেছে, জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর সাবসিডিয়ারির মূল মালিক হলেন পলিসিহোল্ডার ও বীমাগ্রহীতরা। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে আইডিআরএ-এর তদারকি করতে পারে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে তাদের কাছে রেকর্ড থাকার কথা। কিন্তু আইডিআরএ কোম্পানির সাবসিডিয়ারির রেকর্ড নেই। বীমা কোম্পানিগুলোর তদারকির সুবিধার্থেই সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তথ্য নেয়া হচ্ছে।