চাকরি দেয়ার কথা বলে জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতির বাসায় যুবলীগের নেতা ও তার তিন বন্ধু এক তরুণীকে ডেকে গণধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগের জেলা কমিটির সদস্য আকতার হাওলাদার (৪০), তার বন্ধু আজাদ (৩৮), আনু ভূইয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এদের মধ্যে রুবেল মুন্সী (৩৫) পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও সাংবাদিকরা জানান, একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে আকতার হাওলাদার ও রুবেল মুন্সি নামের এক ক্যাবল (ডিস) ব্যবসায়ী তরুণীকে (২৫) ডেকে নিয়ে যান জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাকারিয়া অপুর বাড়িতে। সেখানে মদপান করে আকতার হাওলাদার, আজাদ, আনু ভূইয়া ও রুবেল মুন্সী তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার তরুণী বাংলামেইলকে বলেন, ‘ধর্ষণ শেষে এক পর্যায়ে আমি বাথরুম গিয়ে আমার ভাইকে ফোন দেই। ভাই পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।’
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাকারিয়া অপু বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকায় আছি। আসার সময় বাড়ির চাবি আনু ভূইয়া কাছে রেখেছি।’
মাদারীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবুবকর সিদ্দিক বাংলামেইলকে বলেন, ‘খবর পেয়েই পুলিশ নিয়ে আমি বাড়িটি ঘেরাও করি। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষকদের মধ্যে আকতার হাওলাদার, আনু ভূইয়া ও আজাদকে মদ ও কনডমসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষকদের মধ্যে একজন পালিয়েছেন।
ধর্ষিতাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান আবুবকর সিদ্দিক।
মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ কুমার পাল বাংলামেইলকে বলেন, মামলা দায়েরের পাশাপাশি ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন