মালয়েশিয়া প্রবাসী শ্রমিকদের কাছে আতঙ্কের অন্য এক নাম বাংলাদেশ হাইকমিশন। বিশেষ করে পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি চোখে পড়ারমতো। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
অট্টালিকার নগরী মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর। যেখানে বাস কয়েক লাখ বাংলাদেশির। যে সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় লাখ দশেক বাংলাদেশি রয়েছেন।
বিশাল এই প্রবাসী বাংলাদেশিদের নতুন পাসপোর্ট তৈরি বা ভিসা সংক্রান্ত নানা কাজে সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে, বাংলাদেশ হাইকমিশন। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শ্রমিকদের।
হাইকমিশন ও পার্সপোর্ট অফিস শহরের দুই প্রান্তে হওয়ায় দুর্ভোগের মাত্রাও বেশি।
শ্রমিকদের অভিযোগ মূল ভোগান্তি হয় পাসপোর্ট অফিসে। ১৯ নভেম্বর বিকেলে দেখা যায় হাজার খানেক শ্রমিক অপেক্ষা করছেন। আরটিভি টিমকে দেখে জানান তাদের সমস্যার কথা।
বড় হল রুমে লোকসংখ্যা বেশি দুই একটি এসি থাকলেও তা কাজে আসে না। নেই কোন ফ্যান।
বাথরুমের অবস্থা এতোটাই নাজুক যে দূর্গন্ধে সেখানে প্রবেশ করাই দায়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারির সঙ্গে।
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট, ভিসা কিংবা যে কোন সমস্যা দ্রুত সমাধানে হাইকমিশন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান শ্রম কাউন্সিলর।
তবে প্রবাসীদের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার।
যে কোনও সমস্যার ব্যাপারে অন্য কারো সাথে যোগাযোগ না করে সরাসরি হাইকমিশনকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।