নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হঠিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে : ফখরুল

0
239
Print Friendly, PDF & Email

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়ার সময় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের কথা মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্রে সই করতে হলো মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে; সেই চিঠি তিনি দলীয় প্রধানের প্রতিনিধির হাতে তুলে দিলেন অশ্রুভেজা চোখে। তিন আসনে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নের চিঠি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার বিকালে ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া শুরু করেছে বিএনপি। দুদকের করা দুই মামলায় কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়া এবার মনোনয়ন নিয়েছেন ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে। বগুড়া দুটি আসনে তাঁর পে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু মহাসচিবের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় দলীয় মনোনয়নের এই প্রত্যয়নপত্রও জমা দিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে থাকায় এই প্রত্যয়নপত্র দেয়া হচ্ছে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বারে। এ সংবাদ সম্মেলনের পর বিকাল ৪টা থেকে বরিশাল বিভাগে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া শুরু হয়। : মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যখন আমি আপনাদের সামনে এসেছি, অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়েÑ এই প্রথম আমরা একটা নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছি আমাদের চেয়ারপারসনকে ছাড়া। কান্না চাপতে না পেরে এক পর্যায়ে তিনি টিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন এবং পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মোছেন। পরে বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে। সরকারের প্রচন্ড প্রতিহিংসামূলক মামলা ও কলাকৌশলে তাঁকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। আমরা দেশনেত্রীর মনোনয়নপত্র তাঁর প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের সূচনা করছি। মির্জা ফখরুল বলেন, কেবল বেগম খালেদা জিয়া নন, বিএনপি ও বিরোধী দলের ‘অসংখ্য’ নেতাকর্মীকে কারাগারে রাখা হয়েছে, তারা ‘নির্যাতনের শিকার’ হচ্ছেন। দেশে এখন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নেই। প্রশ্ন আসবেÑ তারপরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি কেন? নির্বাচনে যাচ্ছি দুটি কারণে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আন্দোলন সৃষ্টি করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, জনগণের ভোটাধিকার ফেরত আনতে চাই। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়ে এর মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইÑ এটাই আমাদের ল্য। সেই ল্েয জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, একটি দাবিতে সবাই একমত, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে দূর করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। : বিএনপি মহাসচিব বলেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা প্রত্যেকটি আসনে দুজন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিচ্ছি। কোনো কারণে একজনের না হলে পরের জন যাতে সুযোগ পান। আর আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যেখানে যারা আছেন, সেখানে তারাই মনোনয়ন পেয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর। আর প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দিনকাল রিপোর্ট : একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়ার সময় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের কথা মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নের প্রত্যয়নপত্রে সই করতে হলো মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে; সেই চিঠি তিনি দলীয় প্রধানের প্রতিনিধির হাতে তুলে দিলেন অশ্রুভেজা চোখে। তিন আসনে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নের চিঠি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার বিকালে ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া শুরু করেছে বিএনপি। দুদকের করা দুই মামলায় কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়া এবার মনোনয়ন নিয়েছেন ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে। বগুড়া দুটি আসনে তাঁর পে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু মহাসচিবের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় দলীয় মনোনয়নের এই প্রত্যয়নপত্রও জমা দিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে থাকায় এই প্রত্যয়নপত্র দেয়া হচ্ছে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বারে। এ সংবাদ সম্মেলনের পর বিকাল ৪টা থেকে বরিশাল বিভাগে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র দেয়া শুরু হয়। : মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যখন আমি আপনাদের সামনে এসেছি, অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়েÑ এই প্রথম আমরা একটা নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছি আমাদের চেয়ারপারসনকে ছাড়া। কান্না চাপতে না পেরে এক পর্যায়ে তিনি টিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন এবং পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মোছেন। পরে বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারে। সরকারের প্রচন্ড প্রতিহিংসামূলক মামলা ও কলাকৌশলে তাঁকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। আমরা দেশনেত্রীর মনোনয়নপত্র তাঁর প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের সূচনা করছি। মির্জা ফখরুল বলেন, কেবল বেগম খালেদা জিয়া নন, বিএনপি ও বিরোধী দলের ‘অসংখ্য’ নেতাকর্মীকে কারাগারে রাখা হয়েছে, তারা ‘নির্যাতনের শিকার’ হচ্ছেন। দেশে এখন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নেই। প্রশ্ন আসবেÑ তারপরও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি কেন? নির্বাচনে যাচ্ছি দুটি কারণে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আন্দোলন সৃষ্টি করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, জনগণের ভোটাধিকার ফেরত আনতে চাই। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়ে এর মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইÑ এটাই আমাদের ল্য। সেই ল্েয জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, একটি দাবিতে সবাই একমত, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারকে দূর করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। : বিএনপি মহাসচিব বলেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা প্রত্যেকটি আসনে দুজন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিচ্ছি। কোনো কারণে একজনের না হলে পরের জন যাতে সুযোগ পান। আর আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যেখানে যারা আছেন, সেখানে তারাই মনোনয়ন পেয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর। আর প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দিনকাল রিপোর্ট :

শেয়ার করুন