আমরা আওয়ামী লীগ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা কাজ করে যাব। আমাদের কাছে প্রার্থীর চেয়ে দল অনেক বড়। দলের সঙ্গে কোনোদিন বেঈমানি করিনি আর করবও না। কলমাকান্দা-দুর্গাপুরে মানু মজুমদার কেন, যেই টিকিট নিয়ে আসুক আমরা তার নির্বাচন করব। এই ভাষ্য নেত্রকোনা-১ আসনের কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শহীদুল আলম চৌধুরীর।
নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয় মানু মজুমদারকে। এরপর থেকেই এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।
এ প্রসঙ্গে শহীদুল আলম চৌধুরী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কলমাকান্দা-দুর্গাপুরে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য জালাল উদ্দিন তালুকদার। কিন্তু নেত্রী মনোনয়ন দেন যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ রুহীকে। আমরা সেইসময় জালাল তালুকদার মনোনয়ন পাবেন বলে প্রত্যাশা করলেও রুহীর বিরোধিতা করেনি। তার নির্বাচন করেছি। তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। এলাকার লোকজন জালাল তালুকদারকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে বললেও তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাকে তিন তিনবার সংসদ সদস্য বানিয়েছে আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গে বেঈমানি করতে পারব না।’
কিন্তু আমরা অবাক হলাম, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছবি বিশ্বাসকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে জালাল তালুকদারের ছেলে রুয়েল তালুকদার ও মোস্তাক আহমেদ রুহী নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তবে এলাকার জনগণ তাদের প্রত্যাখান করে। ছবি বিশ্বাস বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। আশা করি এবারও নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করবেন। এবং সবাই বিভেদ ভুলে শেখ হাসিনার নির্দেশ মান্য করবেন।
সিরাজুল ইসলাম সেকেন্ড মিঞা নামের অপর এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা প্রার্থী কে বুঝি না। নৌকা যিনি নিয়ে আসবেন তারই নির্বাচনই করবো। আমরা ব্যক্তির দল করি না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি।
কৈলাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী খান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা তার সঙ্গেই আছি। আমরা আওয়ামী লীগ করি। এই দল করতে গিয়ে অনেক জেলজুলুম সহ্য করতে হয়েছে। তবু কখনো দলের সঙ্গে বেঈমানি করিনি। কোনোদিন করবও না।