৭০ পুলিশ অফিসারসহ প্রশাসনের ৯২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি ঐক্যফ্রন্টের

0
157
Print Friendly, PDF & Email

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের ৯২ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই দাবি জানায় তারা। এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে দেয় একটি প্রতিনিধিদল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন। সে সময় সচিবের কাছে বিএনপি অনেকগুলো তালিকা ও আরো ১০টি চিঠিও দেয়। চিঠিগুলোতে সই করেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলাল বলেন, গণহারে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হচ্ছে। এদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। আমরা ঢালাও অভিযোগ করি না। আজকে লিখিতভাবে সব তথ্য প্রমাণসহ দিয়ে গেলাম। নির্বাচনে এদের সব ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখাও দাবি জানান দলটি। এই তালিকায় কোনো লেভেলের কতজন আছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এরমধ্যে পুলিশ সুপার আছেন, বিশেষ শাখার পুলিশ কর্মকর্তারা আছেন, ডিআইজি সাহেবরা আছেন, এডিশনাল আইজি কর্মকর্তারা আছে এবং এআইজি সাহেবরাও আছেন। আলাল বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে সরকারের এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উনাদের কাছে কিছু দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। প্রমাণাদিসহ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার কিংবা নির্বাচনী কোনো কর্মকর্তা যে কাজগুলো করতে পারেন না, সেই কাজগুলো অনবরত করা হচ্ছে। তার কয়েকটি উদাহরণ আমরা উনাদের সামনে তুলে ধরেছি এবং এগুলোর প্রতিকার চেয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এসব না ঘটে আর যারা এসব করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির যে প্রতিবন্ধকতা যেগুলো বড় আকারে আমাদের চোখে পড়ছে সেগুলো তুলে ধরেছি। : তালিকায় থাকা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঃ : ঐক্যফ্রন্ট যে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যে পুলিশ সদর দফতর, ডিএমপিসহ বিভিন্ন বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ের অতিরিক্ত আইজিপি, ডিজি, ডিআইজি, কমিশনার ও ডিসি পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন ৩৯ জন। বাকি ৩১ জন পুলিশ সুপার পদে কর্মরত। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ছয় জন, ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জন, সিলেট বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে দুই জন, খুলনা বিভাগে ছয় জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন, রংপুর বিভাগে তিন জন ও রাজশাহী বিভাগে কর্মরত সাত জন। : পুলিশ সদর দফতরে কর্মরতরা হলেন, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান (নিজ জেলা জামালপুর), ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান (গোপালগঞ্জ), ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন (কিশোরগঞ্জ), ডিআইজি (ট্রেনিং) ড. খ মহিদ উদ্দিন (বরিশাল) ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান (যশোর)। : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মকর্তরা হলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া (নিজ জেলা ফরিদপুর), ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম (গেপালগঞ্জ), অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) মীর রেজাউল আলম (মাগুরা), অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) কৃষ্ণপদ রায় (হবিগঞ্জ), অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন (সুনামগঞ্জ), যুগ্ম কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলম (নড়াইল), যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম (কুমিল্লা), ডিসি (তেজগাঁও) বিপ্লব কুমার সরকার (কিশোরগঞ্জ), ডিসি হারুন অর রশিদ (কিশোরগঞ্জ), ডিসি (রমনা) মো. মারুফ হোসেন সরদার (খুলনা), ডিসি (ডিবি, উত্তর) খন্দকার নুরুন নবী (মাগুরা), ডিসি এস এম মুরাদ আলী (গোপালগঞ্জ), এডিসি শিবলী নোমান (গোপালগঞ্জ) ও সিটিটিসি ইউনিটের ডিসি প্রলয় কুমার জেয়ার্দার (নেত্রকোনা)। : এর বাইরে র‌্যাবের মহাপরিচালক ডিজি (অতিরিক্ত আইজিপি) বেনজীর আহম্মেদ (নিজ জেলা গোপালগঞ্জ), টেলিকম ইউনিটের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. ইকবাল বাহার (পাবনা), নৌপুলিশের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান (খুলনা), পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (সিটিএসবি) মোহাম্মদ আলী মিয়া (গোপালগঞ্জ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসএস (এসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম (নড়াইল) ও সিলেট ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি আলতাফ হোসেনের (পাবনা) প্রত্যাহারও চেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। : ঐক্যফ্রন্টের প্রত্যাহারের দাবির তালিকায় রয়েছেন পুলিশের পাঁচ রেঞ্জের ডিআইজি ও তিন রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি। তারা হলেন— সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান (নিজ জেলা চাঁদপুর), চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক (টাঙ্গাইল), খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মেদ (গোপালগঞ্জ), রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন (গোপালগঞ্জ) ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য (মৌলভীবাজার) এবং খুলনা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম (নিজ জেলা ময়মনসিংহ), সিলেট রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র (খুলনা) ও ঢাকা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান মিয়া (মাদারীপুর)। : এছাড়া খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় কর্মকর্তাও রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের তালিকায়। তারা হলেন— খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) হুমায়ুন কবির (নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) মাহবুবুর রহমান রিপন (জামালপুর), রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) হাফিজ আক্তার (গাজীপুর), রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির (রাজবাড়ী), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি এস এম মেহেদী হাসান (খুলনা) ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মো, ফারুকুল হক (সিরাজগঞ্জ)। : ঐক্যফ্রন্টের তালিকায় থাকা পুলিশ সুপাররা ঃ : ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া তালিকায় রয়েছেন ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে কর্মরত ছয় ছয় কর্মকর্তা। তারা হলেন ঢাকার এসপি শাহ মিজান শফি (নিজ জেলা নাটোর), নারায়ণগঞ্জের এসপি মো. আনিসুর রহমান (গোপালগঞ্জ), মুন্সীগঞ্জের এসপি মো. যায়েদুল আলম (মাদারীপুর), নরসিংদীর এসপি মিরাজ (পটুয়াখালী), টাঙ্গাইলের এসপি সঞ্জিত কুমার রায় (সুনামগঞ্জ) ও মাদারীপুরের এসপি সুব্রত কুমার হাওলাদার (বাগেরহাট)। : তালিকায় ময়মনসিংহ বিভাগের দুই জেলার পুলিশ সুপার হলেন— ময়মনসিংহের এসপি শাহ আবিদ হোসেন (নিজ জেলা বাগেরহাট) ও শেরপুরের এসপি আশরাফুল আজিম (ঝিনাইদহ); সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার এসপি মো. মনিরুজ্জামান (পটুয়াখালী); বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার এসপি সাইফুল ইসলাম (পাবনা) ও ভোলার এসপি মোক্তার হোসেন (পটুয়াখালী) এবং রংপুর বিভাগের রংপুর জেলার এসপি মিজানুর রহমান (জামালপুর), দিনাজপুরের এসপি সৈয়দ আবু সায়েম (ফরিদপুর) ও ঠাকুরগাঁওয়ের মনিরুজ্জামান (কুষ্টিয়া)। : বিএনপির তালিকায় খুলনা বিভাগের ছয় জেলার এসপি রয়েছেন। তারা হলেন খুলনার এসপি এস এম শফিউল্লাহ (নিজ জেলা গোপালগঞ্জ), সাতক্ষীরার এসপি মো. সাজ্জাদুর রহমান (ঝিনাইদহ), বাগেরহাটের এসপি পংকজ চন্দ্র রায় (লালমনিরহাট), যশোরের এসপি মঈনুল হক (পটুয়াখালী), ঝিনাইদহের এসপি (হাসানুজ্জামান) ও কুষ্টিয়ার এসপি আরাফাত তানভীর (বাগেরহাট)। : তালিকার চট্টগ্রাম বিভাগের চার জেলার এসপিরা হলেন চট্টগ্রামের এসপি নূরে আলম মিনা (নিজ জেলা গোপালগঞ্জ), নোয়াখালীর এসপি ইলিয়াস শরীফ (ফরিদপুর), ফেনীর এসপি এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার (পাবনা) ও কুমিল্লার এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)। : রাজশাহী বিভাগের সাত জেলার এসপিদেরও প্রত্যাহার দাবি করেছে ঐক্যফ্রন্ট। তারা হলেন— রাজশাহীর এসপি মো. শহিদুল্লাহ (নিজ জেলা শেরপুর), চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি মোজাহিদুল ইসলাম (গাজীপুর), নওগাঁর এসপি ইকবাল হোসেন (পাবনা), নাটোরের এসপি সাইফুল্লাহ (নেত্রকোনা), বগুড়ার এসপি আশরাফ আলী (নেত্রকোনা), সিরাজগঞ্জের এসপি টুটুল চক্রবর্তী (লক্ষ্মীপুর) ও পাবনার এসপি রফিক ইসলাম (গোপালগঞ্জ)। : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতির ছেলে একজন এমপি প্রার্থী। তিনি বঙ্গভবনে তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে বসে নির্বাচনী কাজ করছেন। তাদের আদর আপ্যায়ন করা হয়েছে। যেটি প্রভাব বিস্তারের অন্যতম উদাহরণ। তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগের রিটার্নিং কর্মকর্তা এদের সঙ্গে সব রির্টানিং কর্মকর্তারা পুলিশ সুপারদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ১৬ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। : মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের বিভাগীয় কমিশনার ও রির্টানিং কর্মকর্তা তাঁর এলাকার অন্য রিটার্নি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি নির্বাচন আচরণবিধির ৭৩ এর ২ বি, ৭৭ এর ১/ই এবং আরপিও এর লঙ্ঘন। তিনি বলেন, এনটিএমসি ও বিটিআরসির দলকানা কর্মকর্তারা গুলশানে তারেক রহমানের কথোপথন বন্ধ করে রেখেছেন। এখনো সেখানে ইন্টারনেন্ট বন্ধ। এটিও নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। : গ্রেফতার এখনো ব্যাপকহারে চলছে উল্লেখ করে বিএনপির প্রতিনিধিদলের এই নেতা বলেন, গতকাল রাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাড়াও মনোনয়ন বোর্ডে রয়েছেন এমন নেতা রয়েছেন। এ ছাড়া পোস্টার বিলবোর্ড সরানোর যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে এখনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ঢাকা শহরে এখনো অসংখ্য নৌকা প্রতীকের বিলবোর্ড পোস্টার রয়েছে। এমনকি সিটি করপোরেশনসহ এই সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় উন্নয়ন কর্মকা প্রচারের নামে নৌকা প্রতীকের প্রচার করছেন। : নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ শাখার রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ বার বার তাদের সঙ্গে যোগযোগ করে জানতে চাচ্ছে কে কোন দল করেন। এই তৎপরতা এখনো গণহারে চলছে বলেও অভিযোগ করেন আলাল। তিনি বলেন, খুলনার হরিণঘাটায় কিছু দালিলিক তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। সেখানে নির্বাচন কর্মকর্তারদের নামের তালিকার নামের পাশে লেখা হয়েছে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি আর জামায়াত করে। তারা যে চিঠি আদান-প্রদান করেছেন তার কপি আমাদের কাছে আছে। মূল কথা হচ্ছে, মাঠটি প্রচ রকমের অসমতল। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বাধ্য করার মতো সব উপাদান রয়েছে, কেন জানি তড়িঘড়ি করে করা হচ্ছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবারও দাবি জানাই মাঠ সমতল করার ক্ষেত্রে গ্রেফতার বন্ধ করার। দলকানা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার। অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। পুলিশকে নিরপেক্ষ আচরণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন যাতে নির্দেশনা দেয়। : গতকাল সকালে ইসি একটি বিশেষ বৈঠক করেছে, যেখানে সিইসি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হয়রানি না করা হয়। এই নির্দেশনায় আপনারা আস্থা রাখতে পারছেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা দেখছি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এটি তো অনুরোধ বা অনুনয়। কিন্তু উনার তো নির্দেশ দেওয়ার কথা। উনি নির্দেশনা দিবেন। সেই ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন আমরা চাই। : : কেন্দ্র পাহারার কথা বলে ঐক্যফ্রন্ট গৃহযুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে : কাদের : দিনকাল রিপোর্ট : আসন্ন নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিএনপি নিজেদের লোকজনকে পাহারায় থাকতে বলেছে, আওয়ামী লীগও যদি একই কাজ করে, তাহলে ভোট না হয়ে ‘গৃহযুদ্ধ’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। : ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট যেভাবে তারা আজকে অ্যাগ্রেসিভ টোনে কথাবার্তা বলছে, সেটা কিন্তু সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ৩০০ লোক, ৫০০ লোক থাকার অর্থ কী? তা আমরাও ৩০০ থেকে ৫০০ লোক কেন্দ্রে কেন্দ্রে যদি ব্যবস্থা করি, তাহলে কী হবে? ভোট হবে? না গৃহযুদ্ধ হবে? ভোট হবে? না সংঘাত হবে? ভোট হবে না ভায়োলেন্স হবে?’ এ ধরনের কথাবার্তা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। : ঐক্যফ্রন্টে শরিক সব দল বিএনপির কথা অনুসারে চলছে, ওই সব শরিকদের কোনো দাম নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লন্ডন থেকে তারেক রহমান আজকে যে নির্দেশ দিচ্ছে, তার অঙুলি হেলনে আজকে ঐক্যফ্রন্ট চলছে। এটা হলো বাস্তবতা। কাজেই এখানে ঐক্যফ্রন্ট, কামাল হোসেন সাহেব বা অন্যান্য পলিটিক্যাল যে শরিকরা, তাদের দিনে দিনে আরো পরিষ্কার হবে তাদের কানাকড়িও এখানে কোনো দাম নেই। : নেতিবাচক রাজনীতির কারণে শক্তিহীন হয়ে বিএনপি এখন জামায়াতে ইসলামীর জঙ্গি শক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগকে হারাতে চায়। নিজেদের নেতিবাচক ভাবমূর্তি আড়াল করতে দলটি ড. কামাল হোসেনকে ব্যবহার করছেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তাদের শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে। যেহেতু তাদের (বিএনপি) নেতৃত্ব দন্ডিত। তাদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, দুর্নীতির অভিযোগ আছে।’দিনকাল রিপোর্ট :

শেয়ার করুন