আজ তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন

0
191
Print Friendly, PDF & Email

বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রাণপুরুষ, তৃণমূল রাজনীতির ধারক-বাহক, এই দেশ, মা, মাটি ও মানুষের সন্তান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, নির্যাতিত নন্দিত জননেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৫ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্র, ইসলামী মূল্যবোধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ও তিনবারের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার ৫৪তম জন্মদিন এবার এমন এক সময়ে এলো যখন দেশে গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় বাকশাল চলছে। গুম, খুন, অপহরণ ও মিথ্যা মামলায় সাজানো রায় দিয়ে বিরোধী দলশূন্য রাষ্ট্র নির্মাণে ব্যস্ত বাকশালীরা। হাজার হাজার মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলের সদস্যদের কারাগারে নিক্ষেপ করে গোটা দেশটাকে জেলখানায় পরিণত করা হয়েছে। বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে অঘোষিত বাকশালী কায়দায়। প্রাথমিকসহ সকল পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণে ধ্বংসের মুখে অর্থনীতি। নারী ও শিশু নির্যাতনে বেড়ে যাওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মা-বোনেরা। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে আতঙ্কিত যুব সমাজ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের অধীনে নিতে জোর করে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করানোর ফলে ন্যায়বিচারের পথ প্রায় রুদ্ধ। ঠিক এমনি একটি মুহূর্তে দেশনায়ক তারেক রহমানের জন্মদিন পালন করছে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ড্যাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। দিবসটি উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছে দলটি। তার জন্মস্থান বগুড়া বিএনপির উদ্যোগেও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। : তারেক রহমান এমনই একজন নেতা যার রয়েছে বহুমুখী প্রতিভা। বিএনপিসহ সাধারণ জনসাধারণের কাছে তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা। জনগণকে আপন করে কাছে টেনে নেয়ার জাদুকরী ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব, সম্মোহন ব্যবহার, মার্জিত, আর এসব গুণাবলীই তাকে বিস্ময়কর জনপ্রিয়তার অধিকারী করে তুলেছে। তারেক রহমান এই দেশ, মা, মাটি ও মানুষের সন্তান। তাইতো মা, মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করেই তারেক রহমান তার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেন। পিতার পথ ধরেই শহরকেন্দ্রিক রাজনীতিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেন হাটে-মাঠে-ঘাটে। তৃণমূল রাজনীতির প্রাণপুরুষ হয়ে ওঠেন তারেক রহমান। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের হাতে হাত রেখে, তাদের সুখে-দুঃখে অংশীদার হয়ে ঠাঁই করে নেন তাদের মনের মণিকোঠায়। তারেক-আতঙ্কে ভুগতে থাকে বিপরীত রাজনৈতিক শিবির। আওয়ামী লীগ ও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের আক্রোশের শিকার হয়ে তিনি এখন সুদূর লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। : দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ ও স্বনির্ভরতা অর্জন করতে গিয়ে দেশি-বিদেশি অপশক্তির ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদতবরণ করায় মাত্র ১৫ বছর বয়সেই পিতৃহারা হন তারেক রহমান। দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল থেকে তিনি মাধ্যমিক ও ঢাকার বিএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবিতে পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তি হন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন মেধাবী ছাত্র তারেক রহমান। শিক্ষাজীবন শেষে ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। বস্ত্রশিল্পে বিনিয়োগ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যবসায় সফলতা লাভ করেন। পরে তিনি নৌ-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করে সফলতা অর্জন করেন। তারেক রহমান ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বড় মেয়ে ডা. জোবায়দা রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একমাত্র কন্যা জায়মা রহমান সম্প্রতি লন্ডনের স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। : নন্দিত জননেতা তারেক রহমান কিশোর বয়সে ১৯৮১ সালে পিতাকে হারালেও পড়াশুনার পাশাপাশি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার মায়ের সহচর হিসেবে অংশ নেন। পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে তারেক রহমান বগুড়া জেলার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেয়ার আগেই তারেক রহমান রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রায় নেপথ্যে থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তারেক রহমান। তারই রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অনবদ্য পরিকল্পনা ও প্রজ্ঞার কারণে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। দীর্ঘদিন দলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেপথ্যচারীর ভূমিকা পালন করলেও অবশেষে ২০০২ সালে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পান। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক রহমান সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে প্রেরণ করলে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিলেও সরকারি নির্দেশে উচ্চ আদালত একটি মামলায় সাজা দিয়েছেন। আরেকটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করে সাজা দেয়া হয়েছে। : রাজনীতিতে এসেই তারেক রহমান বুঝতে পারেন দেশের উন্নয়ন চাইলে গ্রাম-গঞ্জের উন্নয়ন করতে হবে। তাই তিনি পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে গ্রামে-গঞ্জের পথে-প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি গ্রামাঞ্চলের কৃষক-মজুর-খেটে খাওয়া গরিব-দুঃখী মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারেক রহমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন নির্মাণ করতে তৃণমূল ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এসব সম্মেলনে কর্মীরা দলীয় রাজনীতি ও সংগঠন সম্পর্কে মন খুলে কথা বলেছেন। এ সভাগুলোতে তারেক রহমান মূলত দলের গঠনতন্ত্র, উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ মতবিনিময় করেন। বিস্তারিত মতবিনিময়ের বিষয়বস্তুর মাঝে আরও ছিল প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে দলের করণীয় ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিতকরণে সরকারি দল হিসেবে বিএনপির করণীয় প্রসঙ্গে আলোচনা। তৃণমূল পর্যায়ের এই সভা ও জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মনোবল অসাধারণভাবে বৃদ্ধি পায়। তিনি ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে যেভাবে তৃণমূলে দলের শেকড় প্রোথিত করেন তাতে অশুভ রাজনৈতিক শক্তির পায়ের তলা থেকে মাটি সরতে থাকে। তারেক রহমান সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের পরই তার জনপ্রিয়তা ও জাতীয়তাবাদী শক্তির জাগরণে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভীত হয়ে চক্রান্ত শুরু করে। বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের দলা পাকানো হয় এবং এই চেষ্টা আজও অব্যাহত আছে। যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অবৈধভাবে সেনা হস্তক্ষেপের পর তারেক রহমানের ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গভীর রাতে যৌথবাহিনীর সদস্যরা কোনো ওয়ারেন্ট, মামলা এমনকি কোনো অভিযোগ ছাড়াই ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর থেকে দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়ে তাকে নির্যাতন করে শারীরিকভাবে প্রায় পঙ্গু করে দেয়া হয়। গ্রেফতারের ১৬ ঘন্টা পর গুলশান থানায় এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জনৈক ব্যবসায়ীকে দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রথম মামলা করা হয়। ওই ব্যবসায়ী পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন এবং কিভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করতে বাধ্য করা হয় তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে। এভাবে পর্যায়ক্রমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেনাসমর্থিত সরকারের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের অব্যাহত থাকে। মানি লন্ডারিং মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ মোট ১৭টি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। কিন্তু একটি মামলাও আজ পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারেনি। বরং সরকারের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে সাজানো তদন্ত ও সাক্ষী উপস্থাপন করলেও বিশেষ আদালত রায়ে মানি লন্ডারিং মামলা থেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা করে বেকসুর খালাস দিয়েছেন তারেক রহমানকে। এরপর প্রতিহিংসাবশত তারেক রহমানকে খালাস দেয়ায় বিচারকও সরকারের হুমকিতে পালিয়ে আছেন। সরকারি জোর তৎপরতায় হাইকোর্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা দন্ড দেয়। বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ বের করতে পারেনি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরো শতাধিক মামলা দায়ের করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। : তারেক রহমানকে গ্রেফতারের পর তার ওপর যেভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে পঙ্গু করে দেয়া হয় তা মনে করলে আজো শরীর শিউরে ওঠে। আজো তিনি সেই নির্মম নির্যাতনের যাতনা আর ক্ষতচিহ্ন বহন করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের তারুণ্যের এই ‘রাজনীতিক আইডল’ বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের নাগপাশ ছিন্ন করে রাজনীতির নতুন দিশার বর্ণাঢ্য আলোক রোশনাই ছড়িয়ে সমুখে ধাবমান। এক মর্মন্তুদ ক্ষত নিয়ে তিনি প্রবাসে থাকলেও তার মনপ্রাণ পড়ে আছে দেশেই। প্রতিবারের মতো এবারো এই হিরন্ময় তরুণ নেতার জন্মদিনটি এলেও তা সুদূর প্রবাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে পালন করতে হচ্ছে। জন্মদিনে তারেক রহমান দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন। : তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কর্মসূচি : : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মিলাদ, দোয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলÑ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দেশের উৎপাদন-উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বাপ্নিক তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিনে তার প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। তৃণমূল পর্যায়ে তরুণ সমাজকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে উন্নয়ন ও উৎপাদনের মধ্যে যুক্ত করলে দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবেÑ এই চিন্তার ধারক-বাহক ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে তারেক রহমান সারাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন তারেক রহমান। তৃণমূলে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য তার হাঁস-মুরগি-ছাগল বিতরণ ও প্রতিবন্ধী মানুষকে কম্পিউটার বিতরণের কর্মসূচি ছিল যুগান্তকারীÑ যা আজও দেশবাসী ভুলে যায়নি। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করতে পারলে তারা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও জাতীয় উন্নয়নে অংশীদার হতে পারবেÑ এই বিশ্বাসেই তিনি উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেশের সকল জনপদে ঘুরে বেড়িয়েছেন। : তিনি বলেন, দেশাত্মবোধে জারিত হওয়া অপার সম্ভাবনাময় সেদিনের তারুণ্যদীপ্ত নেতার অভ্যুদয় দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাই ১/১১-তে মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার তারেক রহমানকে নিঃশেষ করার জন্য মামলা, শারীরিক নির্যাতন ও ক্রমাগত কুৎসা রটনার ধারা বর্ষণ চালায়। কিন্তু তারপরও তাকে নীরব ও বিচলিত করা যায়নি, দুর্বল করা যায়নি তার অটুট মনোবলকে। যাদের আন্দোলনের ফসল ছিল ১/১১ সরকার তারা ক্ষমতায় এসেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্তে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। তার নামে অসংখ্য মামলা দায়ের করে একের পর এক সাজা দিয়ে যাচ্ছে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে। তবুও তারা তারেক রহমানকে দুর্বল করতে পারেনি। এখনও দুঃশাসনের হুমকি প্রতিদিনই তার ওপর বর্ষিত হচ্ছে, তারেক রহমানকে চক্রান্তজালে আটকাতে চলছে নিরন্তর বহুমুখী ষড়যন্ত্র। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা অবিরাম কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে গেলেও তারেক রহমানকে তার বিশ্বাস ও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। : বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন, দুঃশাসনে দেশ আজ ধ্বংসের সর্বশেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা আজ হুমকির মুখে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারও একদলীয় শাসনের নিষ্পেষণে সারা জাতিকে বন্দি করা হয়েছে। এই দুঃসময়ে তারেক রহমানের নিঃশংক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে। আমি তার আশু সুস্থতা, সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।রফিক মৃধা, দিনকাল :

শেয়ার করুন