গ্যাস সংকট: রেস্টুরেন্টের কেনা খাবারই যখন ভরসা

0
184
Print Friendly, PDF & Email

নানা উদ্যোগের পরেও রাজধানীজুড়ে গ্যাস সংকট কাটেনি। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের তীব্র সংকটে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে চালকদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে হচ্ছে। জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া, ‘তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস’ বা এলএনজি সরবরাহে কারিগরি ত্রুটির কারণে সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে, তিতাস কর্তৃপক্ষ। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাধান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ প্রতিষ্ঠানটি।

রাজধানীর হাতিরপুলের বাসিন্দা সালেহা খাতুন, পেশায় শিক্ষিকা। গ্যাস না থাকায় সকালে রান্না না করেই স্কুলে চলে যেতে হয়। তাই রেস্টুরেন্টের কেনা খাবারই তার পরিবারের ভরসা। তবে দিনের পর দিন কেনা খাবার খেয়ে শরীরের নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা। এমন চিত্র প্রায় রাজধানীজুড়ে।

অন্যদিকে, গ্যাস সংকটের সুযোগে রেস্টুরেন্টগুলোর ব্যবসা জমজমাট। কথায় বলে, কারো পৌষ মাস, আর কারো সর্বনাশ।

এদিকে, সিএনজি চালকদের ফিলিং স্টেশনগুলোতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে হচ্ছে। গ্যাসের চাপ কম হওয়ায়, সমস্যা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা।

এ প্রসঙ্গে তিতাসের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কামরুজ্জামান খান বলেন, জাতীয় গ্রিডে এলএনজি টার্মিনাল হতে যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ হচ্ছিল। নভেম্বরের ৩ তারিখে এল এন জি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়ায় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে আসে। তারই প্রভাবে তিতাস গ্যাসভুক্ত এলাকা ও ঢাকা শহর এলাকায় কিছুটা সংকট দেখা যায়। পরবর্তীতে আমরা বিদ্যুৎ এবং সারে গ্যাস ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং রুট ম্যানেজমেন্ট করে ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করেছি।

তবে, অবস্থার উন্নতি হতে থাকায়, দুই-একদিনের মধ্যে সংকট পুরোপুরি কেটে যাবে বলে আশা করছেন তিতাসের এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, রাজউকের পক্ষ থেকে অবহিত করা হলে আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমের সমাধানের চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুন