জন্মের পর থেকে নবজাতের নাভি পড়া পর্যন্ত বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন।বিশেষ করে শীতে নাভির ঘা শুকাতে বেশি সময় লেগে যায়। তাই এই সময়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। নাভির যত্নে বিষয়ে জানা না থাকলে বিপদের শঙ্কা রয়েছে।
জন্মের পর ডাক্তাররা শিশুর নাভিকে ক্ল্যাম্প করে বা পেঁচিয়ে ক্লিপের মতো প্লাস্টিক বা মেটালের কর্ড ক্ল্যাম্প বা টেইপ লাগিয়ে দেন। এতে নাভিতে রক্তপ্রবাহ দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় এবং নাভিতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
আসুন জেনে নেই শীতে নবজাতকের নাভির যত্ন কী করবেন?
নবজাতকের নাভি কখন পড়ে যায়?
জন্মের এক থেকে তিন সপ্তাহের মাঝে এই নাভি শুকিয়ে ঝরে পড়ে। এই সময়ের মাঝে নবজাতকের নাভির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত। স্বাভাবিকভাবে নাভি ঝরে পড়লে শিশুর দেহে খুবই সামান্য ক্ষত সৃষ্টি করে যা অতি অল্প সময়ের মাঝেই ভালো হয়ে যায়।
ওষুধ লাগানো
সংক্রমণ প্রতিরোধে শিশু জন্মের পর পরই নাভি কাটার পর ক্লোরহেক্সিডিন লাগাতে হয় যা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীরাই লাগিয়ে দেন। শিশু জন্মের সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই নাভি পড়ে যায়। তাই এই সময়টায় অহেতুক হাত লাগানো বা অন্য কোনো ওষুধ লাগানোর প্রয়োজন নেই।
ডায়াপার
শিশুর নাভি যথাসম্ভব পরিষ্কার এবং শুকনো রাখতে হবে।শিশুকে ডায়াপার পরানোর সময় খেয়াল রাখুন ডায়পার যেন নাভিকে কোনো অবস্থাতেই ঢেকে না রাখে। নাভি যেন বেশির ভাগ সময় বাতাসে উন্মুক্ত থাকে।
গোসল
নাভি ঝরে না যাওয়া পর্যন্ত শিশুকে টাবে বা সরাসরি গায়ে পানি ঢেলে গোসল করানো উচিত নয়। জন্মের পর প্রথম ৩ সপ্তাহ স্পঞ্জের সাহায্যে শিশুর গা আস্তে আস্তে মুছে মুছে পরিষ্কার করা উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য
শিশু অতিরিক্ত কান্না করলে, কোষ্ঠ কাঠিন্য বা অন্য কারণে পেটে চাপ পড়ার কারণে নাভি ফুলে গেলেও তা স্বাভাবিক নিয়মে আগের অবস্থায় নিজে নিজেই ফিরে আসে তাই এমনটা হলে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
হাত লাগানো
নবজাতকের নাভিতে অযথা হাত লাগানো উচিত নয়। আর নাভি কাপড় দিয়ে না ঢেকে খোলা রাখতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে নাভি যেন পরিষ্কার ও শুকনো থাকে।
সংক্রমণ
নাভিতে দুর্গন্ধময় পুঁজ, লালচে হওয়া বা অন্য তরল বের হলে সংক্রমণ হয়েছে বোঝা গেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।