ভোটের মাঠে আছি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব : ড. কামাল

0
129
Print Friendly, PDF & Email

বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকাই অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, সরকার যতই ছলচাতুরি করুক এবং প্রহসনের নির্বাচন করার চেষ্টা করুক না কেন এবার নির্বাচন বয়কট করা হবে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওরা যত রকমের দশ নম্বরি করুক আমরা ভোট দেব, আমরা হাজারে হাজারে গিয়ে ভোট দেব। সরকারকে ভাঁওতাবাজির জন্য গোল্ডমেডেল দেয়া উচিত। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে একটা মামলা হয়েছিল। তখন তারা কোর্টে বলেছিলেন যে, এটা একটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা একটি নির্বাচন দেব। দ্রুত সময় মানে কি পাঁচ বছর! তাই অভিধান পরিবর্তন করা দরকার, দ্রুত সময়ের অর্থ কী? এ সময় তিনি আবারও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে পরিত্যক্ত জেলখানায় রেখে নির্বাচন হতে পারে না। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করবেন, অন্যজন জেলখানায় থাকবেন, এটা হতে পারে না। তাকে জেলে রেখে নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। তাকে মুক্তি দিতে হবে। গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। : ড. কামাল হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে কোর্টে মামলা হয়েছিল। তখন কোর্ট আমাকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে ডেকেছিলেন। কোর্ট আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন ওই নির্বাচন নিয়ে। তখন আওয়ামী লীগ কোর্টে বলেছিল এটা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার নির্বাচন, দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দেয়া হবে। তখন বলেছিলাম, এক কথায় বললে তো বলা যায়, এটা কোনো নির্বাচন না। কিন্তু তারা যখন বলছে পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করেছে, দ্রুত আরেকটি নির্বাচন করবে। তাই সুযোগ দেয়া উচিত। এখন কথা হচ্ছে, দ্রুত নির্বাচন মানে কি ৫ বছর? এটা কি বাংলা অভিধানে নতুন করে যুক্ত হওয়া শব্দ। অল্প মানে ৫ বছর। ভাঁওতাবাজির সীমা থাকা উচিত। ভাঁওতাবাজিতে তাদের গোল্ডমেডেল দেয়া উচিত। আমরা এখন ভাঁওতাবাজি থেকে মুক্তি পেতে চাই। : তিনি বলেন, সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলাম, অন্যায় গণগ্রেফতারের কথা বললাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, কাল থেকে আর গ্রেফতার হবে না। কিন্তু এখনও এই গণগ্রেফতার থামেনি। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান এই নেতা আরও বলেন, হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম করছে নির্বাচন কমিশন। খেয়াল-খুশি মতো বাস্তবায়ন করছে সরকার। ইভিএম করতে চাইলে সকলের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে। তা ছাড়া এটা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এ সময় ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলাম। আমরা দেশকে আবার পরাধীন বানাতে দিতে পারি না। সরকার চাইলেই যেকোনো কিছু করে পার পাবে না। ক্ষমতায় থেকে সরকার যা কিছু করবে আর জনগণ তা মেনে নেবে এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। সরকার আর পার পাবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দেন ড. কামাল হোসেন। : সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ৭ জন বিচারপতি মিলে একটা রায় দিলেন, কিন্তু কথা শুনতে হলো সিনহা সাহেবকে। এতো লজ্জা আমি জীবনে পাইনি, যেদিন দেখেছি কোনও একজন মন্ত্রী হবে কিনা জানি না- যিনি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বলেছিলেন ‘তোকে কে নিয়োগ দিয়েছিল? ড. কামাল বলেন, ‘তোকে কে নিয়োগ দিয়েছিল’-একজন প্রধান বিচারপতিকে কেউ এভাবে বলতে পারে না। সে যেই হোক। যে এসব কথা বলেছে তার আদালত অবমাননা এখনো হতে পারে। যে ব্যক্তি এসব কথা বলেছে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে হালকাভাবে নেয়া উচিত না। আজ হোক কাল হোক এসব বলে কেউ পার পাবে না। : ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি, গত ৫ বছর দেশ যেভাবে শাসিত হয়েছে এটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, আমি জানি না। : তিনি বলেন, সরকার এত হালকা হয়ে গেছে যে, তারা নিজেরাই তাদের কথার অর্থ বোঝে না। নইলে দ্রুত নির্বাচন মানে কি পাঁচ বছর? আজ আমি জানতে চাই। যারা আজ সরকারের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা দেখেন- ২০১৪-তে দাঁড়িয়ে আপনারা কী বলেছিলেন। যদি কথাগুলো মনে না থাকে তাহলে কোর্টের অর্ডার বের করে দেখেন। : গণফোরাম সভাপতি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশ। এই দেশে সরকার যদি কোনও কথা বলে তবে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হয়। ১৬ কোটি মানুষকে যা-তা বলে পাঁচ বছর ধরে তারা শাসন-শোষণ বজায় রেখেছে। সংবিধানের মৌলিক কথা হচ্ছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। কিন্তু জনগণ যদি তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে তাদের ক্ষমতা না প্রয়োগ করাতে পারে তাহলে স্বাধীনতার ওপরে আঘাত দেয়া হয়। দেশ স্বাধীন থাকে না। এই দেশটাকে পরাধীন দেশ বানাতে দিতে পারি না। লাখ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার অর্থ হলো জনগণ এই ক্ষমতার মালিক। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করলাম। এটা খেলার কথা না। এবং আমরা তাদের উত্তরসূরি হিসেবে এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না, শহীদের রক্তের সাথে আমরা বেঈমানি করতে পারি না। যারা আমাদের দেশের মালিক করে গেল, মালিক হিসেবে নিঃস্ব হয়ে, কেউ ক্ষমতা আত্মসাৎ করে যেনতেনভাবে আমাদের জনগণকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করছে, আমাদের সুশাসন থেকে বঞ্চিত করছে, সাংবিধানিক শাসন থেকে বঞ্চিত করে যেনতেনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করছে। এটা কি আমরা মেনে নিতে পারি? : সরকারের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, ‘কাকে তোমরা সংবিধান দেখাচ্ছো? সংবিধানের প্রথম লাইনে সংবিধান লেখা আছে। এরপরে আর কোনো লাইন তারা যে পড়ে আমার তা মনে হয় না। পড়লে এভাবে সংবিধান সংবিধান করতো না। পড়লে দেখবে যে, তোমরা একেকটা বিধান লঙ্ঘন করছো। মন্ত্রী যে বলা হচ্ছে এরা কারা? উপদেষ্টা, এরা কারা? তারপর যাদেরকে মেম্বার বলা হচ্ছে তারা কারা?’- এ সময় এমন প্রশ্নও তোলেন এ সংবিধান প্রণেতা। : অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি এবং ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে আহ্বান জানান। নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান বক্তারা। : মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নেই, বিচার বিভাগে নৈরাজ্য চলছে, সরকারের ইচ্ছায় চলছে। সরকার চেষ্টা করছে আপনাদের বারবার উসকানি দিয়ে আবার ভিন্ন খাতে যাওয়ার জন্য এবং তারা যেটা চায় বিএনপিকে সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দিয়ে, বিএনপিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে তারা বিএনপিকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিএনপিকে দূরে সরিয়ে রাখবে। শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যেন আমাদের দাবিগুলো আদায় করি। : বিএনপির মহাসচিব বলেন, ক্ষমতা নয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন করছে। ওইখানেই নিহিত আছে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা। বিচার বিভাগের যদি কোনো স্বাধীনতা না থাকে তাহলে কোথাও কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। : ঐক্যফ্রন্টের এ মুখপাত্র বলেন, সরকার ইচ্ছেমতো বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। আমি বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার জন্য আপনাদের আন্দোলন করার জন্য আহ্বান জানাব। ওইখানেই নিহিত আছে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা। বিচার বিভাগের যদি কোনো স্বাধীনতা না থাকে তাহলে কোথাও কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। এই নির্বাচনে যদি গণতন্ত্রকামী মানুষ জয়ী হতে না পারে চিরতরে বিচার ব্যবস্থা চলে যাবে একটা দলের হাতে। গণতন্ত্র চলে যাবে একটা দলের হাতে, সেই কথাটি আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, এই মানুষটি সত্য কথা বলেছেন এবং তিনি রায়ও দিয়েছেন সত্যভাবে। সেজন্য তাকে এই সরকার দেশ থেকে জবরদস্তি বের করে দিয়েছে। তাকে দেশত্যাগ করতে বলেছে। : ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, যখন আমরা কোথাও দাঁড়াতে পারি না, যখন আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না, যখন আমাদের নির্বাচনের জন্য ক্যাম্পেইন করতে দেয় না, আমাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে অথবা তারা পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তখন এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা এই দানবকে পরাজিত করব। আমাদের হাতে সময় খুব কম। যদি জাতিকে বাঁচাতে হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে যদি বাঁচাতে হয়, আমাদের মানুষকে যদি বাঁচাতে হয়, আমাদের স্বাধীনতাকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে এই উপযুক্ত সময়। আসুন সবাই মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়ি। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা তাদেরকে পরাজিত করি। : আইনজীবী মইনুল হোসেন, নিপুন রায় চৌধুরীর প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন রাষ্ট্রে বাস করছি যে, আইনজীবীরা পর্যন্ত মিথ্যা মামলায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ড. কামাল হোসেন এটা কোর্টে তুলেছেন, এখনও আমরা সুরাহা পাইনি। যেই তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, তার পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪শ গায়েবি মামলা হয়েছে। কীভাবে নির্বাচন করবেন? এভাবেই করতে হবে। এভাবেই মানুষকে নিয়ে এগিয়ে গিয়ে এদের এই নির্যাতন, এদের এই নিপীড়ন, এদের এই নীলনকশা-চক্রান্তকে বানচাল করে দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে আমরা জয়লাভ করব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন যে, সকল সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ধানের শীষ। ড. কামাল হোসেন সাম্প্রদায়িক শক্তি? আ স ম আবদুর রব সাম্প্রদায়িক শক্তি? বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাম্প্রদায়িক শক্তি? মাহমুদুর রহমান মান্না সাম্প্রদায়িক শক্তি? আমাদের মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দিন সাহেব সাম্প্রদায়িক শক্তি? অলি আহমদ সাম্প্রদায়িক শক্তি? যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা সাম্প্রদায়িক শক্তি? এই কথার আমি প্রতিবাদ করছি। একটা কথা আমি পরিষ্কার বলতে চাই, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আপনরাই প্রশ্রয় দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। কারা একসাথে বসে যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আন্দোলন করেছেন, সবাই আছে। এখন তাদের সঙ্গে বসে কওমী জননী হয়ে গেছেন, এটা সবাই জানে। : নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি, জাতীয় নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু অবাধ করবে। নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে যে ফলাফল হয়, আগে সেই কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা করা হত। আমরা শুনতে পাচ্ছি, জানি না এটা সঠিক নাও হতে পারে, সেটা না কি বদলিয়ে দিয়ে তারা সেন্টারে নিয়ে যাবে। আমরা বলতে চাই, কেউই মানবে না। আমরা সাবধান করে দিচ্ছি নির্বাচন কমিশনকে, এটা করতে পারবেন না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন, সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে, অন্যথায় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। : আইনজীবীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এত দুঃখ পেয়েছি আজকে, একবারের জন্য তো আপনারা কেউ নামটা (এস কে সিনহা) উচ্চারণ করলেন না। আমি মনে করি, আমাদের সবার তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো উচিত এবং তিনি যে সত্য কথাগুলো উচ্চারণ করে গেছেন সে কথাগুলো আমাদের বারবার করে উচ্চারণ করা উচিত। : মহা সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ বলে, তারা অনেক জরিপ করেছে। সেই জরিপে তারা না কি এগিয়ে আছে। আমি বলতে চাই, আমাদের কাছেও জরিপের ফলাফল আছে এবং তাদের করা জরিপের ফলাফলও আমাদের কাছে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবে আগামী নির্বাচনে। সেজন্য সকলকে বলছি, ভোট দিতে যেতে হবে। সাধারণ মানুষ, কৃষক, অশিক্ষিত, যারা মাঠে কাজ করেন, মহিলা- এবার আমাদেরকে লড়াই করে ভোট দিতে যেতে হবে। : এর আগে সমাবেশে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভোটের (নির্বাচনে) মাঠে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নির্দেশনা চেয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হিসেবে আইনজীবীদের মনোনয়ন দেয়ার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। আইনজীবীদের মহাসমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবীরা এসব দাবি জানান। দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল হালিমের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জেলা নেতাদের বক্তৃতা শুরু হয়। : বগুড়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বলেন, আজ এখানে কেন্দ্রীয় নেতারা আছেন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়ে যেতে চাই শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার। তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র-নির্যাতন হবে, তবু নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দেব না। আমাদের শেষ পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে, যাতে আমাদের বিজয় কেউ কেড়ে নিতে না পারে। সমাবেশে অংশ নেয়া চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির (বারের) সভাপতি নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও একই কথা বলেন। পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেও জানান। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনি এলাকা থেকে সমাবেশে অংশ নেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির (বারের) সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে মনোনয়ন দিলে বর্তমান আইনমন্ত্রীকে ধরাশায়ী করব ইনশা আল্লাহ। জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি ও আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক জয়নুল আবেদীন। : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট মীর নাসির উদ্দিন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সারোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট খোরশেদ মিয়া, অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা খান, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট মনসুর রহমান। এ ছাড়া সমাবেশে গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবীরা। রফিক মৃধা, দিনকাল :

শেয়ার করুন