ময়মনসিংহে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সুমন (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে শহরতলির শম্ভুগঞ্জের চরপুলিয়ামারী এলাকার শাইখ সিরাজ রোডে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, সুমন নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি পুলিশের কাছ থেকে পলাতক ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন।
নিহত সুমন নগরীর চরকালিবাড়ী এলাকার সুরুজ ড্রাইভার ওরফে গোলাম মোস্তফার ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার মধ্যরাতে ডিবির দুটি টিম শহরতলির শম্ভুগঞ্জ এলাকায় বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। চরপুলিয়ামারী এলাকার কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের শাইখ সিরাজ রোডে পাকা রাস্তার পাশে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ছয়-সাত মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তখন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সুমনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় ডিবি পুলিশের কনস্টেবল ইলিয়াছ মিয়া ও রানাউল ইসলাম আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে জেলা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, সুমন পুলিশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, সন্ত্রাসী, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চার কেজি গাঁজা ও ১০টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।