গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপে নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে জনগণের স্বার্থে গঠিত জাতীয় ঐক্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার বিকেলে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ৫ নেতা দেখা করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাফটকে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ, অত্যন্ত অসুস্থ এবং তাঁর চিকিৎসা এখনো ঠিকমতো হচ্ছে না। পিজি হাসপাতালে রেখে ডাক্তাররা চিকিৎসা করার জন্য যে পরামর্শ দিয়েছিল কর্তৃপ সেই পরামর্শ গাহ্য করেননি। তাকে হঠাৎ করেই তাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তখনই বলেছি এটা অমানবিক। তার চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে তাকে আবারো পিজি হাসপাতালে নিয়ে তার চিকিৎসার সুব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। : তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইনের মধ্যে কোথাও নেই যে, যিনি চলতে পারেন না, অসুস্থ তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করতে হবে এবং আবার কারাগারে নিয়ে আসতে হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। চার দিন ধরে তাকে থ্যারাপি দেয়া হয়নি। আজকে বোধহয় থ্যারাপিস্ট যাচ্ছেন। ফলে ম্যাডামের ব্যথা আরো বেড়ে গেছে। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান তিনি। : এক প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ম্যাডাম আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। তিনি আশা করছেন যে, জনগণের যে ঐক্য আমরা তৈরি করেছি, সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি ‘না’ সূচক জবাব দেন। দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। দেড় ঘন্টা পর তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। : গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজায় নাজিমউদ্দিন রোডের এই কারাগার বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরিত্যক্ত এই কারাগারে বেগম খালেদা জিয়াই একমাত্র বন্দি। সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। দিনকাল রিপোর্ট :