নির্বাচনে অংশ নেবে ঐক্যফ্রন্ট বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাবে ২০ দলীয় জোট

0
136
Print Friendly, PDF & Email

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে ভোট এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসা এই জোট বলছে, সাত দফা থেকে তারা সরে আসেনি; আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তাদের ভোটে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত। গতকাল রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্ত জানান। গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মির্জা ফখরুল। : এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের নেতা ড. অলি আহমদও সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের অংশ হিসাবে নির্বাচনে যাবে ২০ দল। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের লিখিত বিবৃতি পড়ে শুনিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন। কিন্তু এরকম ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবি থেকে পিছিয়ে আসছে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তার সঙ্গে তফসিল পিছিয়ে দেয়ার দাবি তারা যুক্ত করছেন। : তিনি বলেন, আজ থেকে ঠিক এক মাস আগে সাত দফা দাবি এবং এগারো দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে ও ২০১৮ সালে সংবিধানের খুব গুরুত্বপূর্ণ মৌল চেতনা, নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে একটি তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে মারাত্মক সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে, সেই পরিস্থিতি থেকে এই দেশকে উদ্ধারের আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। : গণতন্ত্রের সংকট সমাধানে জাতীয় ঐকফ্রন্ট সবসময় আলাপ-আলোচনা এবং সমঝোতাকে গুরুত্ব দিয়েছে ও সেই লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সরকারকে চিঠি দিয়ে সংলাপের আহ্বান জানায় ও সেই আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি দলের আমন্ত্রণে ১ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর গণভবনে সংলাপ হয়েছে। দুঃখজনকভাবে এই সংলাপে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বর্তমানে গভীর সংকট থেকে উত্তরণের পথে ন্যূনতম সমঝোতা করার মানসিকতা আমরা দেখতে পাইনি ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে ৭ দফা দাবি আমরা সরকারের কাছে পেশ করেছিলাম, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই তারা নাকচ করেছেন। এমনকি বর্তমান সংবিধান সংশোধন না করেও যে দাবিগুলো পূরণ করা যায়, তার প্রায় সবগুলোর ব্যাপারে তারা কোনো আশ্বাস দেয়নি। উপরন্তু সেগুলোর কয়েকটিকে সংবিধান বহির্ভূত বলেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। : উভয় পক্ষের মধ্যকার দুটো সংলাপে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন সভা-সমাবেশ করার ওপরে কোনো রকম বিধি নিষেধ থাকবে না এবং ‘গায়েবি’ মামলাসহ নানা রকম রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের হয়রানিমূলক মামলা আর দেয়া হবে না। : প্রধানমন্ত্রীর প্রথম আশ্বাসের অব্যবহিত পরেই আমাদের দুটো জনসভা হয়েছে। একটি ঢাকায় এবং অপরটি রাজশাহীতে। এই দুটো জনসভারই লিখিত অনুমতি দিতে দেরি করে এবং সরকারি মদদপুষ্ট পরিবহন সংকট সৃষ্টি করে মানুষের জনসভায় অংশগ্রহণের পথ রুদ্ধ করা হয় ও রাজশাহীতে জনসভা হওয়ার দুদিন আগে থেকে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এমনকি রাজশাহীর সাথে আশপাশের অনেক জেলার বাস যোগাযোগ বন্ধ ছিল ও অপরপক্ষে এই দুই দিনের জনসভাকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শত শত নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়রানিমূলক গ্রেফতার বন্ধ করে দেয়া হবে, এই আশ্বাসের পর একদিনে ১২০০-এর বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও যে দুটো ব্যাপারে সরকারপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিলেন, সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যখন অবিশ্বাস্য রকম বৈপরীত্য দেখা যায়, তখন আমাদের এটা ধরে নিতেই হয়, সরকার আসলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে ন্যূনতম সমঝোতা করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ছিলো না ও আমাদের দাবিকৃত সাত দফার বিস্তারিত বিচার বিশ্লেষণের জন্য আরো আলোচনা প্রয়োজন ছিল। সেই উদ্দেশ্যে আমরা দাবি করেছিলাম, উভয়পক্ষের মধ্যে আরও কয়েকটি সংলাপ অনুষ্ঠিত হোক ও তাই আমরা যৌক্তিকভাবে চেয়েছিলাম সংলাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে। এখানে উল্লেখ্য, আমাদের দ্বিতীয় দফার সংলাপের আগেই নির্বাচন কমিশন জানায় প্রধান দুই অংশীজন একমত হলে তফসিল পিছিয়ে দেবেন তারা। এরপরও সরকার আমাদের নিবাচনের তফসিল পেছানোর আহ্বানে সাড়া দেয়নি। : বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন না করে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে থেকেছে। সেটা এই কমিশনের অধীনে হওয়া নির্বাচনগুলো দেখলেই স্পষ্ট হয়। সেই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্ধারিত নব্বই দিনের পঁয়ত্রিশ দিন বাকি থাকতেই। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা করার পর দেশের নানা স্থানে সরকারি দলের আনন্দ মিছিল প্রমাণ করে, নির্বাচন কমিশন আসলে সরকারের চাহিদা মতো তফসিল ঘোষণা করেছে। অথচ ১৯৯৬ সালে নির্ধারিত ৯০ দিন সময় শেষ হওয়ার ১৩ দিন আগে, ২০০১ সালে ১২ দিন আগে, ২০১৪ সালে ২০ দিন আগে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিলো। সরকারি দলের তফসিল পেছানোর আহ্বান না জানানো এবং নির্বাচন কমিশনের অতি তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা আবারো প্রমাণ করে সরকার আসলে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমঝোতা চায়নি। এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, সরকারের যাবতীয় চেষ্টার উদ্দেশ্য হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আদলে আরেকটি নির্বাচন করা। : একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ন্যূনতম শর্ত এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরও বিটিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে, যা নির্বাচনি আচরণবিধির সুস্পষ্ট লংঘন। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার শামসুল হুদাসহ প্রায় সকল দল ও জনগণের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে একটা অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন। এরকম ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। : নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সাত দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, একটা অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যে সাত দফা দাবি আমরা এরমধ্যে দিয়েছি, সেই দাবি থেকে আমরা সরে আসছি না। এর সাথে যুক্ত হয়েছে নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে দেয়ার দাবি। আমরা নির্বাচনের বর্তমান তফসিল বাতিল করে এক মাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণা করার দাবি করছি। সেই ক্ষেত্রেও বর্তমান সংসদের মেয়াদকাল এই নির্বাচন করা সম্ভব হবে। এখানে উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চারদলীয় জোটের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার স্বার্থে নির্বাচনের তফসিল দুই দফা পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। এই সব দাবি আদায়ের সংগ্রাম জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অব্যাহত রাখবে। সেই আন্দোলন-সংগ্রামের পথে নির্বাচনে অংশগ্রহণকেও আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। : একটা অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় দায়িত্ব সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতির পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কড়া নজর রাখবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের আচরণের প্রতি। জনগণের দাবি মানা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতাটুকুও হরণ করেছে। নিশ্চিতভাবেই আগামী নির্বাচনটি এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের নির্বাচন হবে। সেই লক্ষ্যে মানুষ তার নিজের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করার জন্য ভোটের ময়দানে থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশে গণতন্ত্রের যে গভীর সংকট তৈরি হয়েছে, সেই সংকট দূর করে আমাদের ঘোষিত ১১ দফা লক্ষ্যের ভিত্তিতে একটা সুখী, সুন্দর আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে দেশের জনগণ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাশে থাকবে। : এক প্রশ্নের জবাবে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, আন্দোলনতো চলতেই থাকবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং পরিবেশ তৈরি করার জন্য আন্দোলন চলবে। ১৬ কোটি মানুষ এক দিকে, সবাই পরিবর্তন চায়। জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে। বিজয় ছিনিয়ে আনবে জনগণ। : সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমদ, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। : এদিকে বর্তমান সংসদ ভেঙে নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ২৩ দলীয় জোট। গতকাল রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ২৩ দলীয় জোট নেতা ও এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচনকালে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও আমাদের নির্বাচনি সমঝোতা হবে। আমরা চাই, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়া হোক, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হোক, ভোটের ৭ দিন আগে ও ভোটের দুদিন পর বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানাচ্ছি। : অলি আহমদ বলেন, ডব ৎবাড়ষঃ বলে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমাদের অনেকেরই উপস্থিতিতে যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেনÑ বাংলাদেশের সেই শ্রেষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত এবং মহান স্বাধীনতার মূল চেতনা বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন ও শক্তিশালী করার প্রত্যয়ে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মূল দাবি ছিল একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য অনুগত নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিন্ড নিশ্চিত করা, সমগ্র বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও প্রত্যাখ্যাত ইভিএম মেশিন ব্যবহার না করা এবং নির্বাচনে পেশী শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ভোট দানে বাধা দেয়া ও জাল ভোট দেয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের অন্তত ৭ দিন আগে থেকে ২ দিন পর পর্যন্ত মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে দেশ-বিদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তায় অভিজ্ঞ দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়োজিত করা। পাশাপাশি মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারারুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া এবং মিথ্যা মামলায় আটক ও গায়েবি মামলায় আটক সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে নির্বাচনি কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। সকলেই এসব দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করলেও বিনাভোটে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সরকার আমাদের দাবি পূরণে আন্তরিক ছিল না এবং সংলাপেও তা মানেনি। নতুন মামলা না দেয়া এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে দেয়া গায়েবি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট আশ্বাসের পর আরো বেশি করে মামলা দেয়া হয়েছে ও হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মীকে মুক্তি দেয়া হয়নি। এমন কি ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের নামে দেয়া গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট জামিন দেয়ার পর সরকারের আইনজীবীরা চেম্বার জজ আদালতে ও আপিল বিভাগে ঐ সব মামলার জামিন বাতিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। : তিনি বলেন, অনুগত নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দেশের সকল বিরোধী দলের আবেদন ও যৌক্তিক পরামর্শ অগ্রাহ্য করে সরকারি দল ও তাদের অনুগত জোটকে সুবিধা দেয়ার জন্য একতরফাভাবে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, যাতে বিরোধী দলগুলো প্রস্তুতি ও প্রচারণার সময় কম পায়। কারণ সরকারি দল গত কয়েক মাস ধরে নির্বাচনি বিধিমালাকে অমান্য করে সরকারি ব্যয়ে নির্বাচনি প্রচারণা করেছে এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে প্রকাশ্যে তাদের দলীয় প্রতীকে ভোট চেয়ে জনসভা করছেন। সারা দেশে নির্বাচনি প্রতীকসহ তাদের প্রচারণার পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পেলেও নির্বাচন কমিশন এর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ, এসব থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান তো দূরের কথাÑ বরং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। : তিনি আরো বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দেশবাসী দ্রুত বিচার চেয়েছেন কিন্তু তাদের বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে, আইন ও যুক্তিগ্রাহ্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দ্রুত সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করার জন্য কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই দেশনেত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হুইল চেয়ারে করে পুনরায় পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে ফেরত পাঠানো এবং অসুস্থ অবস্থাতেই তাকে হুইল চেয়ারে করে বিচারিক কার্যক্রম অনৈতিক ও অমানবিক। ৩ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং ৭৩ বছর বয়স্ক একজন অসুস্থ মানুষর প্রতি সরকারের এ ধরনের নিষ্ঠুর আচরণে দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও হতবাক। এমন অস্বাভাবিক ঘটনার কোনো দৃষ্টান্ত নেই এবং তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমাদের জানা নেই। : এলডিপির সভাপতি বলেন, আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছি যে, আসন্ন নির্বাচনে শুধু মাত্র দলীয় সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা যথা- ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার ও সকল জেলার ডিসিদের রির্টানিং অফিসার এবং আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী ২৭২টি আসনে ৫০৮ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মধ্যে মাত্র ২৯ জন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন। এদের বেশির ভাগই থানা নির্বাচনি কর্মকর্তা। অর্থাৎ সব থানা, জেলা ও বিভাগে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা রয়েছেন এবং তারা অন্যান্য নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিম্বা সমমর্যাদার অন্যান্য কর্মকর্তাগণও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করবেনÑএটাই জনগণ প্রত্যাশা করে। কিম্বা জনগণের মনে এই প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, নির্বাচন কমিশন তাদের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাগণকে দায়িত্ব দিলেন কেন? এর বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা এবং এর ফলে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রভাব বাড়বে কিনা- তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুস্পষ্ট ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দাবি করছি। : সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ২০ দলীয় জোট গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই নির্বাচনকেই গণতন্ত্রের বাহন বলে মনে করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ স্বাধীনভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অবাধ স্বাধীনতা ভোগের অধিকারী বলে মনে করে। যদিও সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করে ও সংসদ বহাল রেখে সাজানো প্রশাসন দিয়ে নির্বাচনি প্রহসন করে পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হতে চায় কিন্তু তাদের কুশাসন, গুম, খুন, হামলা, মামলা, দুর্নীতি, অনাচার, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে অতিষ্ঠ এবং দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ পরিবর্তন চায়। বিরোধী দলগুলোকে সভা-সমাবেশ-মিছিলে বাধা দিয়ে, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানি করে জনগণের ক্ষোভ ও ক্রোধকে চাপা দিয়ে রেখে সরকার মনে করছে জোর করে নির্বাচনে জিতে যাবে। কিন্তু তাদের এমন বাসনা পূর্ণ নাও হতে পারে। : তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে কুইক রেন্টালের নামে বার বার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়িয়ে, এই সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য, পরিবহন ব্যয়, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ব্যয়, শিক্ষা ব্যয়সহ সবকিছুকে জনগণের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে। কিছু দলীয় ব্যক্তি আর নিজেরা ধনী হতে গিয়ে সরকার দেশে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়িয়ে দিয়েছে। শেয়ার মার্কেট লুট, ব্যাংক লুট, এমনকি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক লুটের ঘটনার জন্য কারা দায়ী জনগণ তা জানে। কারা সুইস ব্যাংকে ৬ লাখ কোটি টাকারও বেশি জমা করেছে, বিদেশে টাকা পাচার করে সেকেন্ড হোম আর কানাডায় বেগম পাড়া বানিয়েছে- তা আজ গ্রামের জনগণও জানে। তারা ব্যালটেরে মাধ্যমে সরকারের এসব দুর্নীতি, অনাচার, অত্যাচার, দুঃশাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। দলীয় গুন্ডা-পান্ডা আর দলীয় বিবেচনায় নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের ভয়ে জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ ভীত নয়। তারা জানে যে, নির্বাচনে পরাজয়ের পর এসব দুর্নীতিবাজ অত্যাচারীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। : সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ বলেন, আমরা দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং জনগণের প্রতি আস্থাশীল বলেই এত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা ২০ দলীয় জোট সর্বসম্মতভাবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথেও আমাদের নির্বাচনি সমঝোতা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের দুর্নীতি অনাচার, অত্যাচার এবং সর্বোপরি তিস্তার পানি আনতে না পারাসহ রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষায় সীমাহীন ব্যর্থতার প্রতিবাদ ব্যালটের মাধ্যমে দেয়ার জন্য জনগণকে সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। আর সে কারণেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো- যাতে করে জনগণ তাদের ক্ষোভ, বেদনা ও প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ পায়। আমরা দাবি করছি যে, অনিবার্য জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য সরকার দেশনেত্রীর জামিনে মুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণে নতুন কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে সাংবিধানিকভাবে প্রাপ্ত দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে পালন করবে। সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীকে কোনো ধরনের হয়রানি করবে না এবং গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় আটকদের মুক্তি দেবে। নতুন করে কাউকে গ্রেফতার কিম্বা হয়রানি করবে না। বিশ্বব্যাপী প্রত্যাখ্যাত ইভিএম মেশিন ব্যবহার করবে না। নির্বাচনের ৭ দিন আগে থেকে এবং নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২ দিন পর পর্যন্ত সকল নির্বাচনি এলাকায় মেজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করবে। এর সব কিছুই দেশের বর্তমান সংবিধানের আওতাতেই করা যায়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনকে যেহেতু আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি, সেহেতু সেই দাবিতেও আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। : তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮। এর এক দিন পরেই খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন ২৫ ডিসেম্বর। এর কয়েকদিন আগে থেকেই এই ধর্মের অনুসারীরা উৎসব পালনে ব্যস্ত থাকবে। দেশে অবস্থিত দূতাবাসসমূহের বেশিরভাগই এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ নির্বাচনে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারবে না। নির্বাচনে কারচুপি করার কুচিন্তা না থাকলে এমন দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হতো না। আমরা এই কারণসহ অন্যান্য অনিবার্য কারণে নির্বাচনি তফসিল পরিবর্তন করে অন্তত এক মাস নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি করছি। এদেশের জনগণ ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মহান ভাষা আন্দোলনে সফল হয়েছে। ঊনসত্তরে গণঅভ্যুত্থান করেছে। ’৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। এবারও আসন্ন নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে একটা বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, প্রতিহিংসামুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো। বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-যুবক, সাংবাদিক, বুুদ্ধজীবী, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি-পেশার নারী- পুরুষদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আসুন প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির আবাসে পরিণত করি। দুর্নীতি-অনাচার-অত্যাচারের অভিশাপ থেকে মুক্ত করি। আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, কাজেই অর্থ কিম্বা পেশীশক্তি আমাদের হারাতে পারবে না। বজ্র কঠিন ঐক্য এবং সাহসী প্রতিরোধ দিয়ে আমরা বার বার বিজয়ী হয়েছিÑ এবারও হবো ইনশাআল্লাহ। : সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মোহম্মদ ওয়াক্কাস, মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী, মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এ এইস এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাস মিয়া প্রধান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি, পিপলস লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব হোসেন ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।দিনকাল রিপোর্ট :

শেয়ার করুন