মিয়ানমারে এখন প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা। এটি এরপর বিভিন্ন রুট ধরে ছড়িয়ে পড়ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। এ মাদক দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকা, কলকাতা, বেইজিং, হংকং, ব্যাংকক, ম্যানিলা, জাকার্তা, সিউল, টোকিও, তাইপে, সিডনি, ওয়েলিংটনসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বড় বড় শহরগুলোতে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ করেছে সিএনএন।
মিয়ানমারের গহিন জঙ্গল থেকে শুরু করে সমগ্র এশিয়ায় পৌঁছে যাচ্ছে এ নেশাদ্রব্য, যার প্রকৃত নাম মেথামফেটামিন। প্রচলিত নাম ইয়াবা। এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত পরাজিতের দলেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো। কোনোমতেই ইয়াবার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এশীয় যুবকদের ইয়াবায় পাগল করছে মিয়ানমার। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওসের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল জঙ্গল একসময় আফিম ও হেরোইন বাণিজ্যে কুখ্যাত ছিল। পৃথিবীতে আফিমের মোট চাহিদার অর্ধেকের বেশি জোগান আসত এ অঞ্চল থেকে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দফতরের (ইউএনওডিসি) তথ্যমতে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারেই শুধু ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৭০০ টন আফিম চাষ হয়েছে। ১৯৯৩ সালে দেশটির উৎপাদন ছিল ১৮০০ টন। ক্রিস্টাল আকারের মেথামফেটামিন (মেথ) এবং ইয়াবা (মেথ এর সঙ্গে ক্যাফেইন মিশিয়ে বানানো ট্যাবলেট) দুটোরই আকাশছোঁয়া চাহিদা এশিয়ায়।
ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ঠেকাতে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ সরকার রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে অনেকে। বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভৌগলিক অবস্থান এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দলগুলোকে নানা সুবিধা দিচ্ছে।কালের কণ্ঠ অনলাইন