বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপের পর আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে এ তথ্য জানান রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আগামী ৬ নভেম্বর জনসভা করার জন্য ইতিমধ্যে তারা অনুমতি চেয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে ও পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তারা এখনও সমাবেশের অনুমতি পাননি। তবে আশা করছেন অনুমতি পাবেন।
ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভা সামনে রেখে শনিবার বেলা ১১টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যৌথ সভা হবে বলে জানান রিজভী।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
সংলাপ শেষে তিনি বলেন, এ আলোচনায় বিশেষ সমাধান তারা পাননি। তবে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের বাধা অপসারণের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
এসব বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংলাপ নিয়ে যে আশা ফুটে উঠেছিল, ফুলের মুকুল যেমন ঝরে যায় আস্তে আস্তে। সেটা এখন ঝরে যেতে শুরু করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংলাপের পরও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ ইথেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, সরকারের যদি বোধোদয় হয়, যদি একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আন্তরিকতা থাকে, তাহলে তারা আবার বসবেন। বসে এমন একটা ঐকমত্য তৈরি করবেন, যেখানে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে নির্ভয়ে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই সেটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।