আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেউ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করলে, অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশ এখন উৎসব ও আনন্দমুখর। আমরা চাই সবাই এ উৎসবে শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নিক। তফসিলের পর নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি সবাইকে মেনে চলতে হবে। সরকারি দলের জন্য আলাদা আচরণবিধি নেই।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, নাশকতার বিরুদ্ধে, সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে তার জবাব রাজনৈতিকভাবে দেওয়া হবে। কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না। যে কোনো সহিংসতার জবাব জনগণও দেবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে দলের সহযোগী সংগঠন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরীর সব সংসদ সদস্য এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের যৌথসভা হয়। সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সময়টা খুবই চ্যালেঞ্জের, কঠিন সময়। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, আওয়ামী লীগ সারাদেশে যে সাংগঠনিক গণসংযোগ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, শুক্রবার থেকে তা আরও বিস্তৃত হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংলাপ হওয়ার আগে হতাশা প্রকাশের যুক্তি নেই। বিএনপির ভয়ে নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সংলাপে বসছেন। সব দলের জন্য দরজা খোলা। আগামী ৪ নভেম্বর রাত ৮টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর সংলাপ হবে। আগামী ৫ নভেম্বর জাতীয় পার্টির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। আর সিপিবি ও বাম ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের তারিখ পরে নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, আগামী ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস, ওই দিন সংলাপ হবে না। সময় না থাকলে কয়েকটি জোটকে নিয়ে একসঙ্গে সংলাপ হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।