রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান দেখতে চায় ডেনমার্ক। এ ছাড়া বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জরুরি চাহিদা মেটাতে দেশটি আরো ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার দেবে। ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী উলা টার্নেস গতকাল বুধবার সকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়ে ডেনমার্কের মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, ডেনিশ সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের চাপ সৃষ্টি করছি (মিয়ানমারের ওপর)।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ডেনমার্কের মন্ত্রী উলা টার্নেস ও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিজলে যৌথভাবে কক্সবাজারে কুতুপালং-বালুখালী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। গত বছরের আগস্টে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর ডেনমার্ক এরই মধ্যে ডাব্লিউএফপিকে এক কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে।
ডেনমার্কের মন্ত্রী গতকালের সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন। তিনি এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো সহযোগিতা, আলোচনা ও টেকসই প্রয়াস চালানোর ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘এক বছর আগেও আমি এসব শিবির পরিদর্শন করেছি। এবার ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো দেখে আমি খুশি হয়েছি। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বাংলাদেশ সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল দেখে আমি অভিভূত।’
ডেনমার্কের মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’ তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন এবং রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দেন।