বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিলেও নৈশভোজে অংশ নেবে না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সমকালকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা সংলাপ করতে যাব, ডিনার করতে গণভবনে যাচ্ছি না।
একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু করতে বহুল আলোচিত সংলাপ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এরআগে রোববার সন্ধ্যায় সংলাপ চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুটি চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চিঠিতে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সেই লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।’
বুধবারের সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন। সংলাপে অংশ নিতে ১৬ নেতার নামের তালিকা পাঠিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু সমকালকে বলেন, ‘আমরা গণভাবনে যাচ্ছি আলোচনার জন্য, রাতের খাবার গ্রহণের জন্য নয়। আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা আওয়ামী লীগকে জানিয়ে দিয়েছি যে, তারা যেন রাতের খাবারের আয়োজন না করে।’
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের দেওয়া সাত দফা শুধু নয়, অন্যান্য বিষয় ও বর্তমান যে বিষয়গুলো আছে সেসব বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। দেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবেন।