আমরাতো ড্রাইভারদের দোষ দিয়েই খালাস। মন্ত্রী, মালিক ও সংগঠনের নেতাদের ধরে পিটুনি দিলেই কি রাস্তা দিয়ে দৌড়ানো থামানো যাবে? আগে সেটা থামান। যারা সড়ক দিয়ে চলাচল করে তাদের ট্র্যাফিক নিয়ম যাতে মেনে চলে।
সৌদি আরব সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করলো তারাই দেখি রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছে, চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছে। অথচ কাছেই ফুটওভার ব্রিজ। তারা আবার বয়স্ক না, যুবক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন করলো। কিন্তু এই আন্দোলন হওয়ার পরও তো মানুষ সচেতন হয়নি। এখনও গাড়ি চললে ফাঁকফোঁক দিয়ে লোকজন বের হচ্ছে। দেখা গেল ফুটপাত আছে, আন্ডারপাস আছে, ফুটওভার ব্রিজ আছে। কিন্তু স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে মায়েরা গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করব সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো আপনারা খুঁজে বের করুন। ঢাকায় দুই স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় বাসচালকের দোষ ছিল, সেটা স্বীকার করি। বাস তাদের ওপর উঠে যায়। কিন্তু অন্যান্য যে সব দুর্ঘটনা হচ্ছে তারা ফুটপাতে ছিল কি না? ফিতা নিয়ে মেফে দেখুন তারা কই ছিল।
তিনি বলেন, যানবাহন একটি যান্ত্রিক ব্যাপার। এটা এমন নয় যে হাত দেখালে থেমে যেতে পারে। এটা হয় না। আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো সবাই যেন ট্র্যাফিক আইন মেনে চলে। সড়ক আইন পাশ করেছি। সবকিছু করেছি। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিন্তু আইনতো মানতে হবে। আর সড়ক দুর্ঘটনা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সবখানেই হচ্ছে।আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
|