বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকারের চিকিৎসা ব্যবস্থায় তিনি যে সুচিকিৎসা পাবেন না সেই আশঙ্কাটি আমরা আগেই করেছিলাম। বিএসএমএমইউতে শুধু ফিজিও থেরাপি দেওয়া হয়, সেটিও পর্যাপ্ত নয়। তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। অথচ এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল।’ আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আমি আবারও খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তার পছন্দের চিকিৎসক এবং হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে জোর দাবি জানাচ্ছি। এখন আমাদের প্রধান দায়িত্ব তার মুক্তির আন্দোলন। তার মুক্তি ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রীর মুক্তি।’
তিনি বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি মামলা’ হয়েছে ৪ হাজার ২১৩ টি। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ হাজার ৬০ জনকে।
এ ছাড়াও রিজভী অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা এখন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এরা যেন নিজ দেশেই পরবাসী। অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত আক্রমণে সারাদেশটা আওয়ামী লীগের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। এদেশে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ছাড়া ভিন্ন মত, পথ ও বিশ্বাসের মানুষের নিরাপদ সুস্থ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই।’