তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল –
শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেয়া পৃথক বাণীতে এই শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের সুখ শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়- যুগ যুগ ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সুদীর্ঘকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়। যে কোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। মানুষ হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ ও রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে- হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। নির্যাতন, নিপীড়ণ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দুঃশাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠা এই উপাসনার মূল লক্ষ্য। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সকলে মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসব বৃত্তাবদ্ধ নয়, সার্বজনীন।
নেতৃদ্বয় বলেন, এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উস্কানী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাংচুর অত্যুগ্র মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনা মহল বিশেষের মদদ ছাড়া অসম্ভব। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। যেকোন ধরনের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি এ দেশের প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তত্ত্বে অবিশ্বাসী। আমরা সবাই বাংলাদেশী- এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
নিজস্ব প্রতিবেদক