পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় সবজির দাম অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে চাহিদা অনুসারে যোগানে ঘাটতির অজুহাতে বাড়তি রয়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। এতে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেলেও, উৎপাদন বাড়াতে ইলিশ মাছ শিকার ও বিক্রিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রশংসাও করেছেন তারা।
মৌসুম পুরোদমে শুরু না হলেও, বাজার ছেয়ে গেছে শীতকালীন নানা সবজিতে। শিম, টমেটো, মূলা, ফুলকপি ও পাতাকপি গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে।
আজ বাজার ঘুর দেখা গেছে কেজি প্রতি ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, বেগুন ৭০, ঝিঙে ৫০, টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সিমের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৫০ আর ফুলকপি প্রতিটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
সবজি নিয়ে অসন্তোষ না থাকলেও মাছের বাজার নিয়ে ক্ষোভ জানান ক্রেতারা। দাম বাড়ার পেছনে নিজেদের হাত নেই দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যোগান ও সরবরাহে ঘাটতির কথা।
ফার্মগেটের বাসিন্দা মিজান সাহেব বলেন, বাজারে মাছের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করে। সিন্ডিকেট শনাক্ত করতে না পারলে মাছের দাম কমবে না।
মাছ ব্যবসায়ী মধু মিয়া বলেন, ইলিশ মাছ ধরার পেছনে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইলিশ মাছ যে ধরবে এবং যে বিক্রি করবে তারও শাস্তি হবে।এইভাবে প্রশাসন কঠোর থাকলে মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
দেশি মুরগি প্রতিটি সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা ও ব্রয়লায় ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বৃষ্টিসহ বৈরি আবহাওয়ার কারণে আজ বাজারে আগের চেয়ে ক্রেতার উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে।
আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
|