কুমিল্লার চান্দিনায় দুটি মাইক্রোবাসকে বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় দুই কলেজ ছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুসহ আহত হয়েছেন ১২জন। বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার প্রেমু গ্রামের আবদুল ওহাবের মেয়ে পপি আক্তার (১৭) ও একই গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে মরিয়ম আক্তার মুনমুন (১৬)। তারা পাশের চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। অপরজন মনোহরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুর রহিমের স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার লাভলী (২৮)।
আহতরা হলেন কুমিল্লার ময়নামতি ফরিজপুর এলাকার আব্দুল কাইয়ূম, সামছুল হুদা, মনোহরগঞ্জের সামছুল হুদা, নিহত লাভলীর স্বজন আবদুল মান্নান, ছেলে রাফিদ, মেয়ে রাইসা, শাশুড়ি রহিমা খাতুন ও স্বামী আবদুর রহিম এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের রাসেলসহ তিনজন।
মাইক্রোবাস যাত্রী আহত সামছুল হুদা জানান, তিনি চান্দিনা বাসস্টেশন থেকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট যাওয়ার উদ্দেশে মাইক্রোবাসে ওঠেন। ওই মাইক্রোবাসে কলেজ ছাত্রীসহ অন্তত ১০জন ছিলেন। গোবিন্দপুর স্টেশনে পৌঁছার পর যাত্রী নামানোর জন্য গাড়িটি থামলে পিছনে থাকা অপর মাইক্রোবাস ওভারটেক করছিল। এ সময় পিছন থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী বালুবাহী ট্রাক মাইক্রোবাস দুটিকে ধাক্কা দেয়। দুবাই প্রবাসী স্বামী আবদুর রহিমকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন লাভলী। এ দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান।
ময়নামতি থানার এসআই হারাধন চন্দ্র দাস জানান, ঘটনাস্থলে গৃহবধূ এবং কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিক্ষার্থী মুনমুন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর পপি আক্তার নিহত হন। বাকিদের কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা