বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বেডে শুয়েই গতকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় শুনলেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কারারক্ষীদের মুখ থেকেই তিনি নিজের ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনেন। হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়া এ মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। বাকি ১৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। রায় শুনে নিশ্চুপ ছিলেন বিএনপি-প্রধান। এ সময় তাঁকে বিমর্ষ দেখা যায় বলে জানা গেছে। তিনি দিনভর কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে চুপচাপ বেডে শুয়ে থাকেন। সূত্রমতে, চিকিৎসা নিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের কেবিন ব্লকে ৬১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়েছেন কারাবন্দী বেগম জিয়া। পাশের ৬১১ নম্বর রুমটিতে বিএনপি-প্রধানের মালামাল রাখার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই দুই রুমে এখন পর্যন্ত বিটিভির সংযোগও দেওয়া হয়নি। ৬ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিনই টিভি লাইনের সংযোগ চাইলে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা রিমোট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিএনপি-প্রধানকে জানান। পরে এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি বেগম জিয়া। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কারাগার থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পর বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। কারাগারে তাঁর খুবই কম ঘুম হয়েছে বলেও দায়িত্বরত চিকিৎসক ও কারারক্ষীদের জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবারই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে খাওয়ানো হচ্ছে। তবে বেগম জিয়া অল্প খাবার খান। বেশির ভাগ সময়ই স্যুপ, লাউ সবজি ও মুরগির মাংস খান তিনি। তাঁর পছন্দের মেন্যু অনুযায়ী তাঁর খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পরই সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়। এরপর ৬ অক্টোবর বেলা ৩টা ১৮ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।নিজস্ব প্রতিবেদক