প্যাসিভ স্ট্রেচিং
এ অনুশীলনে শরীরকে শিথিল রাখতে হবে। এ অনুশীলনে প্রশিক্ষক বল প্রয়োগে স্ট্রেচ করতে সহায়তা করেন। শরীর অসুস্থ থাকলে এ ধরনের স্ট্রেচিং খুব উপকারী। তবে এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষকের দক্ষতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তার কোনো ভুলে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
স্ট্যাটিক স্ট্রেচিং
স্ট্যাটিক স্ট্রেচিংয়ে পেশিকে যতটা সম্ভব প্রসারিত করা হয়। এ অবস্থায় ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকতে হয়। যখন পেশিকে খুব দ্রুত বা খুব গভীরভাবে সম্প্রসারিত করা হয়, তখন সুষুম্নাকাণ্ডে একটি সংকেত যায়। এর নাম স্ট্রেচ রিফ্লেক্স। এর ফলে পেশির সংকোচন হয়। স্ট্রেচ রিফ্লেক্স স্ট্যাটিক স্ট্রেচ করার দুই সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়। এর পরে পেশি শিথিল হয়। এতে প্লাস্টিসিটি বাড়ে। এই পদ্ধতিটি খুবই নিরাপদ। এ স্ট্রেচিংয়ে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা কমে, ব্যায়ামের পরে ব্যথা হলে এই স্ট্রেচিংয়ে তা কমে যায়, হ্যামস্ট্রিং বা হিপ ফ্লেক্সর লো ব্যাক সিনড্রোমের আশঙ্কা কমে এবং সংযোগ কলা ও অস্থিসন্ধিতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
অ্যাক্টিভ স্ট্রেচিং
এ অনুশীলন নিজের চেষ্টায় করতে হয়। বাইরে থেকে কোনো বলও প্রয়োগ করা হয় না। কিন্তু কোনো আঘাত বা অসুস্থতা থাকলে এই স্ট্রেচিং করা যায় না। কয়েকটি ক্ষেত্রে এই স্ট্রেচিং এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কোনো হাড় ভাঙা থাকলে, অস্থিসন্ধির আশপাশে ব্যথা থাকলে, অস্টিওপোরোসিস থাকলে, পেশিতে সদ্য টান লেগে থাকলে, চর্মরোগ বা শ্বাসকষ্ট থাকলে এ অনুশীলন না করা ভালো। এমনকি স্ট্রেচিংয়ের সময় ব্যথা হলে এটি এড়িয়ে যাওয়া ভালো।কালের কণ্ঠ অনলাইন