২০০ গ্রামের বেশি ইয়াবা পাওয়া গেলে মৃত্যুদণ্ড

0
120
Print Friendly, PDF & Email

২০০ গ্রামের ওপর ইয়াবা পাওয়া গেলে বাহকের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গতকাল সোমবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮-র খসড়া চূড়ান্ত এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন-২০১৮-র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-র খসড়ায় ইয়াবাকে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যান্য মাদকের ক্ষেত্রেও যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ডোপ টেস্টের বিষয়টিও রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

বৈঠক শেষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, দেশে ইয়াবার (অ্যামফিটামিন) বিস্তার ব্যাপক হওয়ার কারণে সরকার এটি রোধে নতুন আইনটির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, ইয়াবা বহন, মজুদ, বিপণনের পরিমাণ ২০০ গ্রামের বেশি হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এর পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম হলে এক থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হলে সর্বনিম্ন পাঁচ বছর, সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হেরোইন, কোকেনের মতো মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ২৫ গ্রাম হলে কমপক্ষে দুই বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর পরিমাণ ২৫ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। অন্যদিকে ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষায় দেহে এর উপস্থিতি পাওয়া গেলে কমপক্ষে ছয় মাস ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৈঠকের বরাত দিয়ে সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে সিসার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ভেষজ-নির্যাস সহযোগে দশমিক ২ শতাংশের ঊর্ধ্বে নিকোটিন এবং এসএস ক্যানেল মিশ্রিত উপাদান হিসেবে সিসার ক্ষেত্রেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

সচিব জানান, আগের আইনে অনেক বিষয় সরাসরি পরিষ্কার করা ছিল না। নতুন আইনে ইয়াবা, সিসা, ডোপ টেস্টের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে সব ধরনের মাদককে নতুন আইনে যুক্ত করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল নারকোটিকস কন্ট্রোল বোর্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রস্তাবিত আইনে ‘কন্ট্রোল-ডেলিভারি’ নামে নতুন বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বিয়ারের সংজ্ঞা হালনাগাদ করা হয়েছে। বিয়ার হবে দশমিক ৫ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়। কালের কণ্ঠ অনলাইন

শেয়ার করুন