শরীর ঠিক রাখার জন্য ব্যায়াম প্রয়োজন। সুস্থ স্বাভাবিক শরীরের জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। আবার এই ব্যায়ামই কিন্তু আপনার শরীরকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে। অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই সত্যি। সব কিছুর যেমন একটা নিয়ম-কানুন আছে, তেমনি আছে ব্যায়ামেরও। নিয়ম-কানুনের বাইরে গেলেই ঘটে যেতে পারে বিপত্তি।
ব্যায়ামে শরীরের ওপর যথেষ্ট ধকল যায়। অন্যদিকে বিশ্রামের সময় মাংসপেশির বিকাশ হয়, হাড়ের শক্তি বাড়ে। সে কারণে বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিশ্রামের সময় যদি কমে যায় তাহলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। অস্থির ক্ষয় হয়। এখানে শেষ নয়। একই সঙ্গে মনঃসংযোগে সমস্যা, দীর্ঘক্ষণ ক্লান্তিভাব, মাঝেমধ্যেই মেজাজ হারানোর মতো সমস্যাও হতে পারে। সঙ্গে ইনজুরির শঙ্কা তো থাকছেই।
অনুশীলন যে মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে তা অনেক সময় বোঝা যায় না। বরং মনে হয় আরো একটু বেশি অনুশীলন করি। এতে শরীর আরো চনমনে হয়ে উঠবে, ক্ষমতা বাড়বে, আরো দ্রুত শক্তপোক্ত শরীর তৈরি হবে। বিশেষ করে যারা শক্তপোক্ত শরীর চান, তাঁরা সময়ের দিকে খেয়ালই করতে চান না। যতটা সম্ভব বেশি বেশি অনুশীলনে আগ্রহী তাঁরা। অথচ অতিরিক্ত অনুশীলনে যেমন মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনি একবার এটি ঘটে গেলে তা থেকে মুক্তি পেতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয়।
সে কারণে ব্যায়ামের আগে বুঝতে হবে কী ধরনের ফিটনেস আপনার জন্য উপযুক্ত। সে জন্য কী ধরনের ব্যায়াম করতে হবে, কতটুকু মাত্রায় করতে হবে সে সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা উচিত। যখনই মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়াটা অনুভব করবেন তখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমে কিছুদিন ব্যায়াম বন্ধ রাখা যেতে পারে। একেবার কিছু না করার চেয়ে বরং স্ট্রেচিং করা যেতে পারে। তবে দৈনিক অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।কালের কণ্ঠ অনলাইন