শরীর থেকে সব বর্জ্যপদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখাই যকৃৎ বা লিভারের কাজ। লিভার সিরোসিস এমন এক অসুখের নাম যা লিভারকে পুরোপুরি অকেজো করে ফেলে। এর ফলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়, বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। যেমন-
১. যে খাবারগুলো সহজে হজম হবে এবং হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকর সে ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। সেই সঙ্গে সালফার সমৃদ্ধ খাবার খান ও ফ্যাট যুক্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ব্রকলি, সবুজ শাক, বাঁধাকপি এবং ফুলকপি লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুন লিভারের জন্য ক্ষতিকর টক্সিনকে দেহ থেকে দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
২. টিনজাত এবং প্রসেসড ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রিজারভেটিভ যুক্ত এইসব খাবার লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
৩. অ্যালকোহল লিভারকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করে । নিয়মিত অ্যালকোহল পানে হেপাটাইটিস এবং লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। লিভার সুস্থ রাখতে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
৪. পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা কম পানি পান করেন তাদের লিভারের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত।
৫. অনেকে চিকিত্সকের পরামর্শ বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ খান। কিন্তু এই অভ্যাস লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে ব্যথানাশক (পেইন কিলার) ওষুধে ব্যবহৃত এনজাইম লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে লিভার ক্ষতিগ্রস্থ করে দেয়।
৬. শারীরিক পরিশ্রম শরীরের পাশাপাশি লিভারে মেদ জমতে দেয় না। ফলে লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে মাত্র ২০ মিনিটের শরীরচর্চা লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অনলাইন ডেস্ক