বাংলাদেশে কাজ করছে দেশি-বিদেশি এমন ১৪টি প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্বব্যাংক। চলতি বছর বিশ্বের মোট ৭৮টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে বাংলাদেশি চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে তাদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পরিচালিত কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না। সংস্থাটির গ্রুপ স্যাংকশন সিস্টেমের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। ইন্টেগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্সি এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের প্রকল্পে বিনিয়োগ করা বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় নিষিদ্ধ হয়েছে ভারতীয় কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, অলিভ হেলথ কেয়ার (সাড়ে ১০ বছর), জয় মোদি (সাড়ে ৭ বছর), ফ্যামি কেয়ার লিমিটেড (৪ বছর) এবং ম্যাসলেদোস ফার্মাসিউটিকালস লিমিটেড (তিন মাস)। বাংলাদেশি চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এসএমইসি বাংলাদেশ লিমিটেড ও এসিই কনসালটেন্টস লিমিটেডকে আড়াই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনতা ট্রেডার্সকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এক বছরের জন্য। আর সৈয়দ আখতার হোসেনকে ১১ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বব্যাংক।
এছাড়া বাংলাদেশে কাজ করা অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠান মিডল সাউথ ইউনিয়ন ইলেকট্রিক কোম্পানি লিমিটেডকে চার বছর, ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অবেরথার টেকনোলজিস এসএ’কে আড়াই বছর, বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান একার্ট এন্ড জিগলার বেবিগ এস.এ’কে দুই বছর, সুইজারল্যান্ডের কনভা টেক ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস জিএমবিএইচ’কে এক বছর, মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কনভা টেক মালয়েশিয়া এসডিএন বিএইচডি’কে দেড় বছর, অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড’কে আড়াইবছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেকটি নিষেধাজ্ঞা যেকোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির পাঁচটি দুর্নীতির অন্তত একটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে করা হয়েছে। সেগুলো হলো অর্থ আত্মসাত্, দুর্নীতি, আঁতাত, বলপ্রয়োগ বা ক্ষমতার অপব্যবহার, দায়িত্বে বাঁধা দেওয়া। এই পাঁচটি ঘটনার যেকোনও একটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেই ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্বব্যাংক। তবে নিষিদ্ধ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে আলাদা করে বা সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি।ইত্তেফাক রিপোর্ট