‘এনাফ ইজ এনাফ, এবার মাথায় শুভবুদ্ধি আনুন’

0
146
Print Friendly, PDF & Email

‘অনেক হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ। এখন মাথায় শুভবুদ্ধি আনুন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। জনগণের ভাষা বুঝার চেষ্টা করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। ওনাকে মুক্তি না দিলে আপনাদেরও মুক্তি নেই। তিনিই শেষ ভরসা। তিনিই পারেন সকল সংকট থেকে মুক্তি দিতে, দেশকে রক্ষা করতে। অন্যথায় এ দেশে যে সংকট তৈরি হবে সে সংকট আপনারা মোকাবিলা করতে পারবেন না।’

এভাবেই সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের শহীদ এ কে এম সিদ্দিক হলে এক পেশাজীবী সমাবেশ এ তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ এ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ-বিএসপিপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবরণ, দেশ থেকে তারেক রহমানের নির্বাসন এবং আজ যে লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা তা একই সূত্রে গাঁথা। মূলত জিয়াউর রহমান যে দর্শন দিয়েছেন তা অনেকের কাছে অপ্রিয়৷বিশেষ করে যারা আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী তাদের জন্য। তাই জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নস্যাৎ করতে চায়। এজন্য একটা একটা করে তারা নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।

ফখরুল আরো বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন হয়ে গেছে। কিন্তু মুক্তি দিচ্ছে না। এদেশে বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের কিছু প্রতিনিধি আছেন তাদের কথা শুনে মনে হয়, এদেশে আদৌ কোনো গণতন্ত্র প্রয়োজন আছে কিনা! প্রধানমন্ত্রী যা করছে তাতেই বলছে বেশ বেশ। একজন সম্পাদক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিহাস সৃষ্টি করছেন। অদ্ভূত ব্যাপার! পেশাজীবীরা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তারা যখন বিকৃত মানসিকতার হয়ে যান তখন আতংকিত হতে হয়।

একুশে আগস্টের মামলা নিয়ে তিনি বলেন, ১০ অক্টোবর মামলার রায়ের তারিখ দেয়া হয়েছে। তারা তারেক রহমানকে জড়িয়ে শাস্তি দিতে চায়। অথচ একুশে আগস্টে যে নির্মম ঘটনা ঘটেছে তার জন্য বিএনপি তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়েছিল। এফবিআই আনা হয়েছিল।
ভারতের সাংবাদিক এসে শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ নিতে গেলে কোথাও তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম বলেননি। অথচ আজ তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে। এদেশে এখন কোনো আইনের শাসন নেই। সব ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার।

তিনি বলেন, জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্য নিয়ে আধিপত্যবাদী, স্বৈরাচারকে সরিয়ে দিতে হবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিএনপি নেতা এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুবু উদ্দীন খোকন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের রুহুল আমিন গাজী।কালের কণ্ঠ অনলাইন

শেয়ার করুন