শরীর গঠনের সহজ পথ

0
135
Print Friendly, PDF & Email

আকর্ষণীয় শরীরের জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শক্তপোক্ত শরীর গঠনের যেমন সহজ কোনো পথ নেই, তেমনি অনিয়মিত ব্যায়ামে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন। এর পরও সহজ কিছু উপায় আছে। তবে যেনতেন শরীরে তা সম্ভব নয়। শরীরের ন্যূনতম শেপ থাকতে হবে। থাকতে হবে সহ্যক্ষমতা। তাহলেই দ্রুত সুন্দর ও আকর্ষণীয় শরীর গঠন করা সম্ভব।

অনুশীলনের জন্য সপ্তাহে এক দিন অন্তর তিন দিন বুক আর পিঠের ব্যায়াম। একইভাবে দুই দিন কাঁধ আর হাতের ব্যায়াম। এক দিন পায়ের ব্যায়াম। এক দিন বিরতি। বুকের ব্যায়ামগুলো হলো সুইস বলে ডাম্বেল চেস্ট প্রেস, ইনক্লাইন বেঞ্চ প্রেস, সুইস বল পুশ আপ, কেবল স্ট্যান্ডিং ফ্লাই। পুল আপ, কোর রো, রেনিগেড রো পিঠের ব্যায়াম।

টানা তিন সপ্তাহ এসব অনুশীলনের পর একটু হালকা ব্যায়াম করতে হবে। যেন শরীর ‘রিকভার’ করার সুযোগ পায়। এ জন্য খাদ্যের পরিমাণও বাড়ানো দরকার। ডিমের সাদা অংশ, মুরগির গ্রিল করা মাংস, টোন্ড মিল্ক, রাজমা, কাজুবাদাম ইত্যাদি পরিমাণমতো খেতে হবে। কেননা পেশির ভিতই হলো প্রোটিন।

হঠাৎ করে চেহারায় বদল আনতে চাইলে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কা থাকে। তবে সপ্তাহে তিন-চার দিন শরীরচর্চা করলেই কিছু মেদ ঝরবেই। পেশিও তৈরি হবে। শরীরটা আগের চেয়ে অনেক ঝরঝরে লাগবে। এটি করতে সপ্তাহে তিন দিন শরীরের ওপরের অংশের ব্যায়াম এবং দুই দিন নিচের অংশের ব্যায়াম করতে হবে। একটি দিন নিজের প্রিয় খেলায় অংশ নেওয়া যেতে পারে। অন্যদিন বিশ্রাম। জিমে শক্তি বাড়ানোর বিভিন্ন ব্যায়াম করা যেতে পারে। শক্তি বাড়ানোর ব্যায়ামে পেশিতন্তু বাড়ে, মেদও ঝরে। পেশি যত বাড়বে ততই শরীর আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। বিরতি নিয়ে তীব্র গতির দৌড়, জাম্পিং জ্যাঙ্ক বা বার্পি জাম্পের মতো কার্ডিও করলে শরীরের বিপাকের হার বাড়ে, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে এবং এইচজিএইচ হরমোন তৈরি হয়। অন্যদিকে প্রিয় খেলায় অংশ নিলেও মন শান্ত হবে।কালের কণ্ঠ অনলাইন

শেয়ার করুন