বৈদ্যুতিক তারে ঝুলে থাকা বিমান, পাইলট ও তার স্ত্রী। ছবি: মিরর
একটি বিমান উড়তে উড়তে স্টিলের বৈদ্যুতিক তারে আটকে যায়। প্রাণ বাঁচাতে পাহাড় থেকে ১০০ মিটার ওপরের সেই তারে ঝুলে পড়েন ৬০ বছর বয়সী পাইলট এবং তার স্ত্রী।
গত শুক্রবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সান সিটি রিসোর্টে ব্যাট হাওয়াক’র ম্যাফোলোডি নামের একটি বিমানের পাইলট পিটার এবং তার স্ত্রী ম্যারি এই ভয়ানক পরিস্থিতি শিকার হন।
পরিস্থিতির শিকার হয়ে পিটার প্রথমে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে কল করেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘মিরর’।
এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ‘মাউন্টেইন ক্লাব এসএ সার্চ এবং রেসকিউ’ টিম এবং পুলিশের বিমান শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্ধারকারীদের কল করে ‘দ্য এরোনটিক্যাল রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সার্ভিস’। শেষমেশ পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, গেম রিজার্ভ এবং এমসিএসএ সার্চ এবং রেসকিউ টিমের সমন্বয়ে পরিচালিত উদ্ধারকর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে।
এমসিএসএ’র উদ্ধারকর্মী রব থমাস বলেন, আমাদের কাছে সর্বোচ্চ ২০০ মিটার লম্বা দড়ি ছিল। তাই আমরা তিনটা দড়ি জোড়া দিয়ে ৫৫০ মিটার লম্বা একটি দড়িতে পরিণত করি, যেটাতে ঝুলে থাকা বিমান পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন, আমি বিমানটিকে স্থানচ্যুত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। কিন্তু কেন সেটি নিচে আসছিল না তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে বুঝলাম বিমানের একটি নাট তারে আটকে গেছে। এদিকে বাতাসের প্রবল বেগ প্রবাহিত হচ্ছিল। তাই এগিয়ে যেতে পারছিলাম না।
৫১ বছর বয়সী এই উদ্ধারকর্মী বলেন, বাতাসের গতি কমলে আমি বিমানের কাছাকাছি পৌঁছাই। অবাক করা ব্যাপার হলো এমন বিপজ্জনক অবস্থায় পিটার প্রথমে তাকে নয়, তার স্ত্রীকে বাঁচাতে বলেন। কিন্তু এটা ছিল বিপজ্জনক। কারণ তার স্ত্রী অনেক দূরে ছিলেন।
তিনি বলেন, পিটারকে উদ্ধার না করে তার স্ত্রী নাগাল পাওয়া অসম্ভব ছিল। তাই প্রথমে আমি পিটারকেই বিপদমুক্ত করি।
উদ্ধারের পর পিটার ও ম্যারিকে প্রথমে নিকটবর্তী প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া হয় মেডিকেল চেকআপের জন্য। তারা বড় ধরনের কোনও আঘাত না পেলেও মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত।আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন